রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে খবর, দেবশ্রী যোগ দিলে তিনি নেই, শোভনের এই ওজর-আপত্তিতেই বাংলা সিনেমার এই অভিনেত্রীকে নিয়ে এদিন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দিল্লির কেন্দ্রীয় দপ্তরে রায়দীঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে দেখা গেলেও, তিনি কবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেবেন, তা নিয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে এই প্রসঙ্গে এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, এলে তো একটা ভোট বাড়বে। বাংলা সিনেমার পরিচিত মুখ। দলে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, দেখতে হবে।
যদিও বিজেপি পার্টি অফিসে দেবশ্রী রায় এদিন কার সঙ্গে দেখা করেছেন, তা এদিন রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। শোভনবাবু নিজে একসময় তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি ছিলেন। দেবশ্রী রায় তৃণমূলের বিধায়ক। সেক্ষেত্রে শোভনবাবু বিজেপিতে যোগদান করে সংশ্লিষ্ট জেলা তৃণমূলে ভাঙন ধরাতে চাইছেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। শোভনবাবু নিজেই এদিন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘আমি নিজে আজ যোগ দিলাম বিজেপিতে। এবার দেখুন আগামীতে কী হয়।’ যদিও বিজেপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেবশ্রী রায়ের উপস্থিতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি যোগদান পর্বে উপস্থিত দলের বঙ্গ ব্রিগেডের নেতারা। এ ব্যাপারে মুকুল রায় বলেন, ‘দেবশ্রী রায় কেন বিজেপির পার্টি অফিসে এসেছেন, তিনি কার সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন, আমি জানি না।’
নারদা-কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে বাঁচতেই কি আপনার বিজেপিতে প্রবেশ? প্রশ্ন করায় শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এসব কোনও বিষয়ই নয়। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো আজ ওঠেনি। কয়েক বছর আগেই উঠেছে। কিছু প্রমাণ করতে পেরেছে কি? এসব মাথায় থাকলে আরও আগে বিজেপিতে যোগ দিতাম।’ শোভনবাবু বলেন, ‘পরিস্থিতি আমাকে বাধ্য করেছে এই পদক্ষেপ নিতে। তৃণমূলের বাস্তবিক অবস্থা কী, তা আপনারা অনেকেই জানেন। বিস্তারিত তথ্য আমি যথাসময়ে যথাস্থানে দেব। দলের সঙ্গে আমার কী হয়েছে, কেন হয়েছে, তার সবথেকে ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। তবে আমি আর থাকতে পারছিলাম না বলেই গত ২২ নভেম্বর থেকে দলের সঙ্গে সমস্ত সংস্রব ত্যাগ করেছি।’ বৈশাখী বলেন, ‘আমার সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুত্ব কোনও গোপন ব্যাপার নয়। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বন্ধুত্বকে কদর্য করতে চাইছেন কেউ কেউ। আমি বর্তমানে একটি কলেজের সঙ্গে যুক্ত। যদি ভবিষ্যতে এই ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সাহায্যের প্রয়োজন হয়, নিশ্চই পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করব। তিনি অবশ্যই দলমত নির্বিশেষে আমাকে সহযোগিতা করবেন।’
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে পুরভোট হওয়ার কথা। বিজেপির অন্দরের খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গেরুয়া শিবিরে যোগদানের ফলে আগামী বছরের পুরভোটের যুদ্ধে দল কিছুটা হলেও এগিয়ে গেল। যার প্রসঙ্গ টেনে আজ এখানে অরুণ সিং বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্য চালাচ্ছেন, তাতে বাংলার মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছেন। যে কারণে রাজ্যে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে।’ মুকুলবাবু বলেন, ‘রাজ্যে সিপিএমকে হটিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে শোভনবাবুদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কলকাতা পুরসভা বিজেপির দখলে তো যাচ্ছেই, এমনকী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল বিরোধী দলের তকমাটুকুও পাবে না।’