রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ধৃতদের পক্ষে হারান শেখ, সামসের শেখরা জানান, তাঁরা ১৫-২০ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন। তারপর তাঁদের ছেলেরা সেখানে যান। তাও বছর দশেক হয়ে গেল। স্থানীয় হ্যাচারি থেকে মুরগির ছানা কিনে ঝুড়ি করে বাড়ি বাড়ি ফেরি করেন তাঁরা। সাধারণত একই হোটেলে ওঠেন। কিন্তু এবার ঈদের জন্য তাঁরা তাড়াতাড়ি ফিরতে চাইছিলেন। হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, কিছু টাকা পরে দেবেন। দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে হোটেল কর্তৃপক্ষ রাজি হয়ে যাবে ভেবেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা হয়নি। এ নিয়ে বচসাও বাধে। হোটেলের মালকিনের হার চুরির অভিযোগ করা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। পুলিস এসে তল্লাশি করে সেই হার পায়নি। কিন্তু কয়েকটি পুরনো মোবাইল ফোন পেয়েছে। তার ভিত্তিতেই মোবাইল চুরির অভিযোগ দায়ের করে তাঁদের আটক করা হয়। ধৃতদের পরিবারের লোকজনের দাবি, অনেক ব্যবসায়ীই নগদের পরিবর্তে এ ধরনের জিনিস দিয়ে থাকেন। এক ব্যবসায়ী পুরনো মোবাইলের পরিবর্তে মুরগি নিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিস তা মানতে চায়নি। স্থানীয় কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরাই রয়েছেন ধৃতদের তালিকায়। উৎসবের দিনে ওদের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ৭ আগস্ট প্রথমে ওঁদের আটক করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার শীর্ষ পুলিস আধিকারিক পরে নিশ্চিত করেন, তাঁদের গ্রেপ্তারই করা হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও তাঁদের কেন আদালতে পেশ করা হয়নি, সে ব্যাপারে বিস্মিত তাঁরাও। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের ওএসডির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা বেলা ১১টা নাগাদ কালীঘাটে গিয়ে কাগজপত্র দাখিল করে তাঁদের মুক্ত করার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আবেদন জানাব।