কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
আয়কর দপ্তরের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে নোটিস ধরানোর ঘটনার প্রথম দিন থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মমতা। ক্ষোভের ঝাঁঝ এতটাই যে দু’কদম এগিয়েও কিছুটা সুর নরম করেছে আয়কর দপ্তর। দুর্গপুজো আসন্ন। সূত্রের মতে, এই অবস্থায় এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত সক্রিয়তার পথ থেকে সরে আসতে চাইছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। মমতা অবশ্য তাঁর প্রতিবাদী অবস্থানের ধার ও ভার বাড়িয়ে চলেছেন। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেছেন, দুর্গাপুজো জাতীয় উৎসব। তার জন্য তিনি গর্বিত। অথচ বেশ কিছু পুজো কমিটিকে নোটিস ধরিয়েছে আয়কর দপ্তর। ক্ষমতায় বসেই তাঁর সরকার গঙ্গাসাগর মেলার তীর্থযাত্রীদের উপর বসানো কর তুলে দিয়েছে। ক্ষুব্ধ মমতা সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দুর্গাপুজোয় কোনও কর নয়।’ তাঁর মতে, পুজো কমিটির উপর আয়করের নামে আর্থিক বোঝা চাপানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই দলের শাখা সংগঠনকে আন্দোলনে শামিল করতে চলেছেন নেত্রী। বঙ্গজননীর রাজ্য সভানেত্রী সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার জানান, আয়কর দপ্তরের জুলুমের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের কর্মীরা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে অবস্থানে বসবেন। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পুজো উদ্যোক্তা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কাকলি বলেন, বাংলার দুর্গাপুজোর মতো উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষ অংশ নেয়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই কয়েক বছরে গোটা বিশ্বের উৎসবের মানচিত্রে উঠে এসেছে দুর্গোৎসব। ঘটনাচক্রে বাংলার এই পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সক্রিয়ভাবে জড়িত। জনসম্পর্ক স্থাপনে এই পুজো কমিটিগুলির ভূমিকাও নজর টেনেছে। সম্প্রতি বিজেপিও বাংলার দুর্গাপুজোর কমিটিগুলিকে তাদের কব্জায় আনতে উঠেপড়ে লেগেছে। এক তৃণমূল নেতার মতে, গেরুয়া বাহিনীর থেকে পুজো কমিটিগুলি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে চাপ তৈরি করে তাদের বশ্যতা স্বীকার করানোর উদ্দেশ্যে আয়কর দপ্তরকে কাজে লাগানোর যে নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে, তার নেপথ্যে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। কাকলির দাবি, তাঁদের জমায়েত বুঝিয়ে দেবে কেন্দ্রের এই বাংলা বিরোধী চক্রান্ত সাধারণ মানুষ ধরে ফেলেছে।