কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এলাকার বিধায়ক বস্তুত বেপাত্তা। তাই বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে জনসংযোগের কাজ শুরু করলেন পাশের কেন্দ্রের বিধায়ক পার্থবাবু। বিধানসভা এলাকার ১১টি ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার এবং দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়কে নিয়ে এদিন বেহালার পর্ণশ্রী থেকে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচার শুরু করলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও ফোন নম্বর সহ টি-শার্ট, কার্ড, স্টিকার ইত্যাদি প্রচার সরঞ্জাম বিলি করা হয়। উল্লেখ্য, খোদ দলনেত্রী এই দলীয় প্রকল্প চালু করলেও এর নেপথ্যে রয়েছে পেশাদার পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। তাদের সুপারিশ মতোই তৃণমূলের দখলে থাকা প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় বিধায়কের নেতৃত্বে জনসংযোগকে আরও নিবিড় করতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করার আবেদন জানানো হচ্ছে। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই কর্মসূচি প্রচারের নির্দেশ এসেছে দলের উপরমহল থেকে। যদিও তৃণমূলের নেতা-নেত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের এই প্রচার ও জনসংযোগের কাজে নজরদারিতে নিযুক্ত রয়েছে আইপ্যাক কর্মীরা। পার্থবাবু বলেন, শোভন বহুদিন ধরেই নিষ্ক্রিয়। দাদা হিসেবে তাঁকে কাজে ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু বেহালা পূর্বের বিধায়ক নিষ্ক্রিয় হলে তো দল বসে থাকতে পারে না। তাঁকে দলের কাজে ফিরতে কোনও শর্ত দেওয়া হয়নি। তিনি না ফিরলে আর তাঁর বাড়িতে দেখা করতে যাব না। প্রসঙ্গত, শোভনের গোলপার্কের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব তাঁকে দলের কাজে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেছিলেন। তাতে কোনও লাভ হয়নি।
এদিন পার্থবাবু বলেন, ‘দিদিকে বলো’ জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় নানা মহল থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, দিদি কেন নিজে ফোন ধরছেন না? এটা অর্থহীন কথা। রাজ্যের সব জায়গা থেকে হাজারে হাজারে ফোন আসছে। সেই ফোন ধরার জন্য প্রায় শ’দুয়েক পেশাদার কর্মী রাতদিন কাজ করছেন। যিনি ফোন করছেন, তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করে রাখা হয়। পরে তার থেকে বাছাই করা বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পার্থবাবুর দাবি, প্রতিদিনই নিয়ম করে নেত্রী ফোনে পাওয়া অভিযোগ নিয়ে ফোন করেন। প্রয়োজনে প্রশাসনিক পদক্ষেপও করছেন। এই নিয়ে অপপ্রচারে কান না দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন পার্থবাবু। সাংসদ মালা রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলে নন, বিরোধী নেত্রী থাকার সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসাধারণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রাখতেন। এখন ‘দিদিকে বলো’ জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ায় আরও বেশি বেশি করে মানুষ সহজে তাঁর কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে আজ রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কবি রোডের একটি বস্তিতে রাত কাটাবেন।