কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
স্নাতকে সাধারণ ডিগ্রির সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষণের পাঠ ধরেই নিয়েই মোট চার বছরের ইন্টিগ্রেটেড কোর্স। অর্থাৎ, এতদিন তিন বছরের স্নাতক পাশ করে তারপর দু’বছরের বিএড কোর্স করতে হতো। কিন্তু নতুন পরিকল্পনায় এক জায়গা থেকেই চার বছরের পাঠ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। সেই মতো রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যক্রমও তৈরি করে ফেলেছিল। কিন্তু শেষমেশ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)-এর ২০১৯ আইন অনুযায়ী বিএড কলেজগুলি এমন কোর্স চালু করতে পারবে না। এই চার বছরের কোর্স সাধারণ ডিগ্রি কলেজে চালু করা হোক, এমনটাই চায় এনসিটিই। তা করতে গেলে পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন দরকার। সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলিতে সেই পরিকাঠামো নেই। ফলে তা এখনই চালু করাও সম্ভব নয়।
নিয়ম বলছে, সাধারণ ডিগ্রি কলেজে এই কোর্স চালু করতে গেলে প্রতি ৫০ জন পড়ুয়া পিছু আটজন করে শিক্ষক দরকার। ১০০ জনের ক্ষেত্রে তা হবে ১৬। সেক্ষেত্রে অতিথি শিক্ষকদের গ্রাহ্য করা হবে না। এদিকে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ডিগ্রি কলেজগুলিতে এত শিক্ষক পদ নেই। সরকারকে এই কোর্সের জন্য নতুন করে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক পদের অনুমোদন দিতে হবে। তাছাড়া বিএড কোর্সের জন্য পৃথক বিল্ডিংও প্রয়োজন। তার আলাদা পরিকাঠামো, লাইব্রেরি ইত্যাদি তৈরি করতে হবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য আলাদা কলেজ থাকতে কেন সেখানে চার বছরের ইন্টিগ্রেটেড কোর্স চালুর অনুমোদন দিচ্ছে না এনসিটিই, তা বোধগম্য হচ্ছে না শিক্ষা কর্তাদের। নিয়ম না মেনে কেউ এই কোর্স চালু করলেও, পরে তার স্বীকৃতি মিলবে না।
রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে বিএড কলেজের সংখ্যা সাতশোর কাছাকাছি। এনসিটিই বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্স চালু করার অনুমতি দিচ্ছে। কিন্তু কলেজে তা চালু করার অনুমতি না দেওয়ায়, এই নতুন প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন হাজার হাজার প্রার্থী। শিক্ষক শিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এনসিটিই এমন সব শর্ত দিচ্ছে, যা রাজ্যের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। কেন তারা বিএড কলেজে এই কোর্স চালুর অনুমতি দিচ্ছে না, তা বুঝতে পারছি না।