কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের একেবারে গোড়া থেকেই বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূলকে চেপে ধরার মরিয়া কৌশল নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির ১৮ জন এমপিই। এই পরিপ্রেক্ষিতেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে পিপলস ট্রাইবুনালের আয়োজন অন্য মাত্রা যোগ করতে চলেছে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন এখানে কোচবিহারের বাসিন্দা প্রশান্ত পাল বলেন, ‘বিজেপিকে সমর্থন করার অপরাধে গত ১৮ জুন আমার শ্যালক আনন্দ পালকে গলা কেটে খুন করেছে তৃণমূলের গুণ্ডারা। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন সেভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করতেই পারেনি। দোষীদের চূড়ান্ত শাস্তি চাই। রাজ্যের বিজেপি এমপিদের সঙ্গে দেখা করে আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব।’ ‘বিজেপি করার অপরাধে’ পুরুলিয়ার ত্রিলোচন মাহাতোকে ‘খুন’ করে তাঁর দেহ গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এমনই অভিযোগ তাঁর বাড়ির লোকদের। ত্রিলোচনের দাদা বিবেকানন্দ মাহাতো আজ বলেন, ‘ভাইয়ের পরেরদিন কলেজের পরীক্ষা ছিল। সেটা আর দেওয়া হল না। যারা ভাইকে মেরেছে, তৃণমূলের সেই গুণ্ডারা এখনও আমাদের দেখাচ্ছে। পুলিশ সব জেনেও কিছু করছে না। সিবিআই তদন্ত না হলে ভাইয়ের খুনিদের শাস্তি হবে না।’ ত্রিলোচন মাহাতোর ‘খুনে’র প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হওয়ায় পুরুলিয়ার দুলাল কুমারকে মেরে তাঁর দেহ হাইটেনশন তার থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁর ভাই কৃষ্ণপদ কুমার। বলেছেন, ‘যতদিন সিবিআই তদন্তভার হাতে না নিচ্ছে, আমরা এভাবেই আমাদের দাবি পেশ করে যাব।’
হাওড়ার ‘নিহত’ বিজেপি কর্মী সমতুল দলুইয়ে মেয়ে অর্পিতা দলুইয়ের অভিযোগ, ‘বাবা সবসময় জয়শ্রীরাম ধ্বনি দিত। তৃণমূলের লোকেরা বেশ কয়েকবার বাবাকে হুমকি দিয়েছিল। বাবা শোনেননি। তার জেরেই বাবাকে খুন হতে হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের কঠোর সাজা হোক। রাজ্যের পুলিশ কিছু করবে না। আমরা সিবিআই চাই।’ এ ব্যাপারে আজ রাজ্য বিজেপির মিডিয়া-ইন-চার্জ সপ্তর্ষি চৌধুরি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলে চলেছেন, রাজ্যে নাকি রাজনৈতিক হিংসার কারণে কোনও মৃত্যুর ঘটনাই ঘটেনি। তাহলে কি নিজের প্রিয়জনদের মৃত্যু নিয়ে এঁরা সব মিথ্যে কথা বলছেন? কাল পিপলস ট্রাইবুনালে যাবতীয় অভিযোগ তুলে ধরবেন এইসব পরিবারের মানুষজন।’ দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য বাংলার ‘শহিদ’ বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেজায় চমক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এইসব শহিদ পরিবারের ভোটাধিকার রয়েছে এমন সদস্যদের দলের সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিজেপি।