পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই প্রকল্পে বাড়িগুলি ২৫ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে হতে হবে। তাতে একটি ঘর, রান্নাঘর, বারান্দা ও একটি শৌচালয় তৈরি করা হবে। তবে শৌচালয়টি তৈরি হবে ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পের টাকায়। জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে একেকজন এই প্রকল্পে পাবেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। অন্য জেলায় গরিব মানুষরা পাবেন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এই টাকার মধ্যে ৬০ শতাংশ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্য সরকার দেবে। রাজ্যজুড়ে এই প্রকল্পের কাজ চললেও আটটি জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেই জেলাগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব বর্ধমান। গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে রাজ্যের কাজে খুশি হয়ে এবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়েছে। এর ফলে সুবিধাপ্রাপকের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ বাড়িয়ে মোট ৮ লক্ষ ৩০ হাজার করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেই কাজ নানা কারণে থমকে আছে। সম্প্রতি জেলাশাসকদের দেওয়া নির্দেশিকায় তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার অন্তর্ভুক্ত হলেও রাজ্যে এর নাম ‘বাংলার বাড়ি’। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বিভিন্ন সভায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তো প্রকল্পের পুরো টাকা দিচ্ছে না। তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রীর নামে প্রকল্পের প্রচার করা হবে? রাজ্য কোথাও ৪০ শতাংশ, কোথাও ৫০ শতাংশ টাকা খরচ করছে। তাই প্রকল্প হবে রাজ্যের ঠিক করে দেওয়া নামেই। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত বাড়িগুলিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নির্দিষ্ট লোগো লাগাতে বলা হয়েছিল। তাতে রাজি নয় নবান্ন। এই প্রকল্পের বাড়তি সুবিধা হল, কোনও ব্যক্তি চাইলে নিজের টাকা খরচ করে ওই বাড়িকে আরও সুন্দর ও বড় করতে পারবেন।