গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তিনি বলেন, যাঁরা এর জন্য দায়ী, সেই বামেরাই দোষীদের শাস্তি চাইছে। ওরা আসলে নিজেদের বিরুদ্ধেই শাস্তি চাইছে। ব্যাপারটা সত্যিই হাস্যকর। এসএসসিকে বলেছি, ওই সময়কার দুর্নীতির সমস্ত কাগজপত্র জোগাড় করে আমাদের কাছে পাঠাতে। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। দুর্নীতি যে সময়েই হয়ে থাক, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, যাঁরা এটা নিয়ে আদালতে যেতে চান, তাঁরা যেতে পারেন। বিধানসভায় পেশ হওয়ার আগেই সিএজির রিপোর্ট থেকে করা প্রতিবেদন দেখে যাঁরা মিছিল করতে চাইছেন, ঠাট্টা করে তাঁদেরকেও এগিয়ে যেতে বলেন।
সিএজি মোট সাতটি পরীক্ষার তথ্য যাচাই করেছে। তাতে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠে এসেছে। ২০০৯ সালে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তা নেয় কমিশন। কিন্তু সেই প্রযুক্তিতে ব্যাপক গলদ পেয়েছে সিএজি। সেই বাবদ খরচ হওয়া প্রায় পাঁচ কোটি টাকা (৪ কোটি ৯৫ লক্ষ)-কে অন্যায্য ব্যয় হিসেবেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারও জানিয়েছেন, যে যে আরএলএসটির কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি আমার সময়ে হয়নি। ২০১২ সালের তথ্য সিএজি এখনও হাতে পায়নি। তাই সেটা বিশ্লেষণ করতে পারেনি। সেই সময়ের দুর্নীতির কাগজপত্র তিনি সরকারের হাতে তুলে দেবেন বলেও জানিয়েছেন।
দুর্নীতি যে আমলেই হয়ে থাক, সিএজি রিপোর্টে রীতিমতো পুকুর চুরির উল্লেখ করা হয়েছে। যে আবেদনগুলি আঞ্চলিক কার্যালয়ে বাতিল করা হয়েছে, সেগুলি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গ্রহণ করা হয়েছে। সংরক্ষণের ক্ষেত্রে জাতিগত পরিচয় চূড়ান্ত প্যানেলে পাল্টে দেওয়া হয়েছে। বহু ন্যায্য প্রার্থীকে এভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। এগুলি নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হলে দোষীরা মারাত্মক শাস্তির মুখে পড়তে পারে।