গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল কলেজগুলির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক দুটি বড় কমিটির একটি হল কলেজ কাউন্সিল। দ্বিতীয়টি রোগী কল্যাণ সমিতি বা আরকেএস। এই সমিতির গভর্নিং এবং এগজিকিউটিভ কমিটিতে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে বলা হয়েছে নির্দেশে। কোন কোন ধরনের জুনিয়র ডাক্তাররা তাতে থাকবেন, সেকথাও বলা হয়েছে সেখানে। থাকবেন ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ এবং পিজিটি বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ডাক্তাররা। কারা নির্বাচিত করবেন এবং কীভাবে নির্বাচিত করবেন, সে সম্পর্কেও বলা রয়েছে এই এইচএফ/এসপিএসআরসি/১/২০১১/পিটি চার(এ)/১৮৬/২০১৯ শীর্ষক নির্দেশে। বলা হয়েছে, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা মনোনীত করবেন দু’জন করে জুনিয়র ডাক্তারকে। কলেজের সমস্ত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে থেকে মনোনীত করতে হবে তাঁদের।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম নেতা ডাঃ অর্চিষ্মান ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, বলতে পারেন আরও একটি দাবিপূরণ হল। আরও অনেকগুলি দাবি পূরণ বাকি। রোগী কল্যাণ সমিতিগুলি যাতে সঠিক অর্থেই রোগী, চিকিৎসক, হাসপাতালের পরিকাঠামো সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিষয়ে সঠিক অর্থে কার্যকর হয়ে ওঠে, তা দেখার দায়িত্ব এখন আমাদেরও। কিন্তু, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্ব যাতে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব হয়ে না ওঠে, তা দেখার জন্য কী করছেন? অর্চিষ্মান বলেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলেই তো মনোনীত করতে হবে। ফলে সেই আশঙ্কা কম। কী বলছেন অধ্যক্ষরা? আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ শুদ্ধোধন বটব্যাল বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা দু’জন সদস্যকে মনোনীত করে রোগী কল্যাণ সমিতিতে যুক্ত করেছি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতিতে কমবেশি ১৯-২০ জন সদস্য রয়েছেন। অধ্যক্ষ, সুপার, স্থানীয় বিধায়ক, আইএমএ’র সদস্য, পুলিস, বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রতিনিধি, পূর্ত দপ্তরের প্রতিনিধি, অ্যাকাউন্টস অফিসার, সহকারী সুপার, ওয়ার্ডমাস্টার সহ অনেকেই রয়েছেন তাতে। এবার যুক্ত হলেন জুনিয়র ডাক্তাররাও।