গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মমতার এহেন বক্তব্যের প্রত্যাশিত পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয় তারা। বিধানসভার গত অধিবেশনের সময় যাঁর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেছিলেন, সেই বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, বিজেপি’র বিরুদ্ধে আজীবন নীতি-আদর্শগতভাবে লড়াই করে আসছে বামপন্থীরাই। উনি সে সব ইতিহাস জানেন না। এখনও আমরা তাই করে চলেছি। ৩৪ বছরের বাম জমানায় রাজ্যে আরএসএস-বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারেনি। উনি প্রথম খাল কেটে বিজেপি নামক কুমির বাংলায় ডেকে এনেছিলেন জোট করে। বিজেপি’র সঙ্গে বারবার ঘর করেছেন। আর ওঁর দলের মূল ভোট-সেনাপতি, ভাটপাড়ার এক নম্বর ম্যানেজার, ছাত্র ফ্রন্টের মূল হোতা, পুলিসে ছড়ি ঘুরিয়ে কাজ করা ‘মানস-কন্যা’রা তো এখন সব বিজেপিতে। সিবিআই-ইডি থেকে দলের কেষ্টবিষ্টুদের বাঁচাতে উনি এঁদের বিজেপি’তে ভাড়া দেননি তো? ওঁর মুখে বিজেপি’র দল ভাঙানি কাজের সমালোচনা শুনে চোরের মায়ের বড় গলার মতো প্রবাদবাক্য মনে পড়বে বাংলার মানুষের। কংগ্রেস এমপি তথা লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী মমতার উদ্দেশে বলেন, উনি তো যে গাছে বসে থাকেন, তাঁর গোড়াটাই কেটে দেন। কংগ্রেসকে নিয়ে ওঁর ভাবতে হবে না। ১২৫ বছরের দল কংগ্রেস। অতীতেও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তা দেখিয়েছি আমরা। আসলে তৃণমূলের নৌকা ডুবছে বুঝে এখন আবোল-তাবোল বকছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, আর যাই হোক মমতার কাছে বিজেপি বিরোধিতার পাঠ কংগ্রেসকে শিখতে হবে না। বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারীদের সঙ্গে দু’বার কেন্দ্রে ক্ষমতা ভোগ করার সময় গেরুয়া শিবিরের বিপদের কথা মনে পড়েনি তাঁর।
রাজ্যের নানা প্রান্তে কাটমানি বিক্ষোভে বিজেপি’র সমর্থন দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা এদিন বলেন, ৩৪ বছরে সিপিএম পঞ্চায়েত, পুরসভা এবং রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল। ওদের অনেক এমপি-এমএলএ ছিল। তখন তাঁদের কাছে কি কাটমানি ফেরতে চেয়েছে বিজেপি কখনও? তবে যাদের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়া বা যে কোনও ধরনের অভিযোগ আছে, তারা বিজেপিতে গেলেও মামলা থেকে রেহাই পাবে না। সুজনবাবু তারও উত্তর দিয়েছেন সোজা ব্যাটে খেলেই। তিনি বলেন, ৩৪ বছর বাম রাজত্বে বিরোধীনেত্রী থাকাকালীনও ওঁর মুখে কাটমানি শব্দটি শোনা যায়নি। এখন উনি যদি মনে করেন, পার্টি অফিসে অস্ত্র ঢুকিয়ে বা খুনের মিথ্যা মামলা দেওয়ার মতো খুচিয়ে কিছু একটা করবেন, তা করতেই পারেন।