পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, আগামী বছর কলকাতা, সল্টলেক সহ রাজ্যের ১০৫টি পুরসভাতে ভোট হবে। বর্তমানে ১৮টি পুরসভা পরিচালনা করছেন প্রশাসকরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ওই ভোট পরিচালনা করে। রাজ্য পুরদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যালটে ভোট করানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কমিশন তারপর সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম প্রত্যেক নেতাই এদিনের সভায় বলেন, ইভিএমে লোকসভা ভোট হওয়ায় যেখানে যেখানে বিজেপি জিতেছে, সেখানে এক মাস পরে অন্য ভোটে দেখা যায় বিজেপি হেরেছে। কারণ ওইসব ভোট হয়েছে ব্যালটে। যেমন কর্ণাটক, রাজস্থান প্রভৃতি। আমরা তাই চাই আগামী সব ভোট ব্যালটে হোক। মমতা বলেন, বিজেপি নেতারা যে ক’টা সিট পাবেন বলেছেন, সেই ক’টা সিট পেয়েছেন। আমি এতেই অবাক। এটা হিস্ট্রি নয়, মিস্ট্রি। এবারের লোকসভা ভোটের ফলাফল আমার কাছে মিস্ট্রি (রহস্য)। কী করে এই ফল হল? তাই মেশিন চাই না। ব্যালটেই ভোট হোক। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করব। অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে বলব। পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোট তো বটেই, সব ভোটই হোক ব্যালটে। আমেরিকা, ইউরোপে তো আর ইভিএমে ভোট হয় না, ব্যালটে হয়। তাহলে ইন্ডিয়াতে (ভারত) কেন ব্যালটে ভোট হবে না?
অবশ্য এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, আমি এখন বাইরে আছি। এ বিষয়ে বলতে পারব না। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হলে বলতে পারব। উল্লেখ্য, রাজ্যে পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোট পরিচালনা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট পরিচালনা করে দিল্লির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোট ব্যালটে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজ্যে পঞ্চায়েত ত্রিস্তরে ভোট ব্যালটেই করতে হয়। প্রতিটি বুথে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ভোটের জন্য তিনটি ব্যালট বাক্স থাকে। আগামী পুরভোটও ব্যালটেই করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।