গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে কোনও রেশন গ্রাহকের আধার না থাকলে যাতে তিনি বঞ্চিত না হন, তার বিকল্প ব্যবস্থা খাদ্য দপ্তর রাখছে। ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্রের নম্বর ই-পিওএস যন্ত্রে নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রেশন ডিলারদের নিজেদের স্বার্থে গ্রাহকদের আধার নম্বরই নথিভুক্ত করা উচিত। কারণ তা হলে ওই যন্ত্রে গ্রাহকদের নানা পরিষেবা দিয়ে অতিরিক্ত আয় করার সুযোগ হবে। রাজ্য সরকার ডিলারদের যে বিশেষ ধরনের ই-পিওএস দিয়েছে, তাতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়া ও তোলা, পুরকর প্রদান, বিমার প্রিমিয়াম দেওয়া এমনকী পেনশন প্রাপকদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে। তাছাড়া মোবাইল, ডিটিএইচ রিচার্জ করা, বিদ্যুতের বিল মেটানো, রেলের টিকিট কাটা প্রভৃতি এর মাধ্যমে করা যাবে। খাদ্য দপ্তরের দাবি, এই ধরনের ই-পিওএস কোনও রাজ্যে নেই। যন্ত্রপিছু অতিরিক্ত ৯ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে বিশেষ সুবিধাগুলি রাখার জন্য। ডিলাররা অন্য পরিষেবা দিয়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা মাসে রোজগার করতে পারবেন বলে খাদ্যমন্ত্রীর দাবি। উল্লেখ্য, ই-পিওএস যন্ত্র চালু করার আগে ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর দাবি উঠেছে। কুইন্টাল পিছু ৫৪ টাকা থেকে কমিশন বাড়িয়ে ২৫০ টাকা চাইছে ডিলারদের সংগঠন। খাদ্য দপ্তর থেকে অবশ্য ১৬ টাকা কমিশন বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য নবান্নে ফাইল পাঠানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে খাদ্য দপ্তর ধীরে ধীরে ই-পিওএস যন্ত্র চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে এই কাজ শুরু হবে। কলকাতায় হবে শেষ পর্যায়ে। গ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আপাতত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে। রেশন দোকানে এই সংযুক্তিকরণের কাজ করার জন্য সপ্তাহের কয়েকটি দিন নির্দিষ্ট করতে চাইছে খাদ্য দপ্তর। ওই দিনগুলিতে রেশন দোকানগুলিতে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে না। ভিড় সামলাতে রেশন দোকানের বাইরেও সংযুক্তিকরণের ব্যবস্থা করা হতে পারে।
আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ হলে ই-পিওএস যন্ত্রে হাতের আঙুলের ছাপ দিয়ে নম্বর যাচাই করা হবে। যাচাই হওয়ার পর খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে। এতে রেশন ব্যবস্থায় পুরো স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছে সরকার। গ্রাহককে তাঁর বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করে খাদ্যসামগ্রী বাইরে বেশি দামে বিক্রি করা বন্ধ হবে। তাছাড়া গ্রাহকরা কী তুলছেন, সেই তথ্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সার্ভারে জমা পড়ে যাবে। ফলে কোনও গ্রাহককে বঞ্চিত করে সরকারকে ফাঁকি দেওয়া যাবে না। ই-পিওএস যন্ত্র ও আধার সংযুক্তিকরণ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে চালু হয়ে গিয়েছে। সেখানে আগে গ্রাহকদের বঞ্চিত করার জন্য দু’-একদিন রেশন দোকান খোলা রাখা হতো। এখন নিয়মিত দোকান খুলতে হয়। কারণ গ্রাহক তাঁর বরাদ্দ তুলেছেন এটা ই-পিওএসে নথিভুক্ত হলে তবেই ডিলার কমিশনের টাকা পাবেন। তবে এ রাজ্যের ডিলারদের অভিযোগ, এখানে রেশন কার্ডে নাম-ঠিকানায় ভুল আছে। ফলে আধার যাচাই করতে গেলে সমস্যা হতে পারে। গ্রাহকরা বঞ্চিত হলে অশান্তি হবে রেশন দোকানে।