পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবার লোকসভার ফল ঘোষণার পর থেকে তিনি আবার নতুন করে সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছেন। সব স্তরের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে কোথায় গাফিলতি, তা বোঝার চেষ্টা করছেন। কীভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে, তাও তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় যেসব কর্মসূচি চলছে, সেই সম্পর্কে এই বৈঠকে খোঁজখবর নেবেন বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে রাজ্যে ১৭-১৮টি কর্মসূচি চলছে। তার মধ্যে ১০০ দিনের কাজ, বাংলার আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, আনন্দধারা, মিশন নির্মল বাংলা, আরআইডিএফ সহ একাধিক প্রকল্প চলছে। ওই সব প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় ৬০ শতাংশ টাকা। রাজ্যকে দিতে হয় ৪০ শতাংশ। কিন্তু আখেরে রাজ্য সরকারের প্রতিটি প্রকল্পে ৫০ শতাংশ টাকা খরচ হয় বলে জানান পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
গ্রামোন্নয়নের যে কাজ বর্তমানে চলছে, তার অধিকাংশই হয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের মাধ্যমে। পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে কাজ হয় খুব কম। জেলা পরিষদ বড় বড় রাস্তা তৈরির দায়িত্বে থাকে। পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশির কাজ করে তারা। তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যদের কাজের গাইডলাইন ঠিক করে দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মিটিং ডেকেছেন বলে জানা গিয়েছেন। প্রায় ৮০০ জন এই মিটিংয়ে হাজির থাকবেন। নিচুতলার জনপ্রতিনিধিরাই দলের মুখ। তাঁদের সরকারের কাজকর্ম স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে। কাটমানি নিয়ে যেন কোনও অভিযোগ না আসে, এই সবই মমতা চান। কিছুদিন ধরে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে কাটমানি নিয়ে বহু জেলাতেই অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি দেওয়া নিয়ে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। সেই সব মাথায় রেখেই জেলা পরিষদের সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চান, যে সব প্রকল্প চলছে, তা তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়া হোক। সাধারণ মানুষ যেন এই সব প্রকল্পের উপকার পায়। স্বচ্ছতার সঙ্গে যেন কাজ হয়।
এদিনের বৈঠকের পরে বেলা ৪টের সময় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। বুধবার ২৪ জুলাই বিকেল ৫টায় নজরুল মঞ্চে মহানায়ক উত্তমকুমারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন মমতা। সেই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীদের বর্ষসেরা চলচ্চিত্র সম্মান ও মহানায়ক সম্মান প্রদান করবেন তিনি। পরে হবে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৬ জুলাই তিনি মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।