বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কোচবিহারের মাথাভাঙার পচাগড় এলাকার বাসিন্দা নজমুদ্দিন মিঞা। তাঁর চার মেয়ে এবং এক ছেলে। রিকশ চালিয়ে কোনওভাবে দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বাকি দুই মেয়ের বিয়ে কীভাবে দেবেন, জানেন না। বললেন, রিকশ চালিয়ে কোনওভাবে সংসার চালাতাম। এখন বয়স হয়ে যাওয়ায় আর পারছি না। প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক। আগে কংগ্রেস করতাম। যেদিন কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল গড়লেন, সেদিনই তৃণমূল হলাম। ২০১১ সালে তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমি টানা আসছি শহিদ দিবসের সমাবেশে। একাই চলে আসি। সমাবেশে আসার জন্য দিনমজুরি করি। সেই মজুরি নিয়ে কলকাতায় আসি। এবারও ৯০০ টাকা রোজগার করেছি। ৭০০ টাকা নিয়ে এসেছি। দু’শো টাকা সংসার চালাতে দিয়ে এসেছি। কথা বলার মাঝে এগিয়ে এলেন কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তথা ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্ত। বৃদ্ধের কথা শুনে তিনিও তাঁর সঙ্গে ছবি তুললেন। তাঁর পরিচয় পেয়ে বৃদ্ধ বললেন, প্রথম দিন থেকে আমরা যাঁরা তৃণমূল করি, তাঁরা শুধু বঞ্চিতই থেকে গিয়েছি। কিন্তু তাও জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তৃণমূলই করব। এই দলের কাছ থেকে অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু পেয়েছি। তবে এখন দলে নতুনরা এসে, যা পারছে করছে। নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। বিধায়কও আমাদের দেখেন না। দলের এই লোকগুলির জন্যই তো আমরা কোচবিহারে হেরেছি।
তপনবাবুর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই বৃদ্ধ কেঁদে ফেলেন। বললেন, মেয়ের বিয়ে দেওয়ার মতো টাকা নেই। এলাকার তৃণমূলের নেতাদের কাছে গিয়েছিলাম অর্থ সাহায্য পেতে। এখানে-ওখানে পাঠিয়েছেন। কিন্তু এক টাকাও পাইনি। আমার সম্পর্কে যে পোস্টার নিয়ে ঘুরছি, তাতে ফোন নম্বর লেখা। যদি কেউ ফোন করে আমাকে অর্থ দেন। তপনবাবু তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, ফোন নম্বর লিখে নিলাম। যতটা পারব, পাশে দাঁড়াব।