বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ফি বছর ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে নেত্রীর নিদান নিয়ে কর্মী-সমর্থকরা ফিরে যান যে যাঁর তল্লাটে। বছরভর দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির দিশা ও অভিমুখ সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিয়ে যান তাঁরা এই সভা থেকেই। তাই আজকের সভায় তিনি কী বলবেন, তার দিকে তাকিয়ে জোড়াফুল শিবিরের সবাই। তবে এবারের সভার গুরুত্ব অন্যান্যবারের থেকে নিঃসন্দেহে আলাদা। লোকসভা নির্বাচনের ফল কিছুটা খারাপ হলেও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি যে বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দিতে নারাজ, মোদিবিরোধী ঝাঁঝালো ভাষণে তৃণমূল সুপ্রিমো আজ আরও একবার সেটাই বোঝাবেন—সমর্থকদের আশা তেমনই। তাঁরা মনে করছেন, আগামী বছর পুরভোট এবং তারপর বিধানসভা নির্বাচনে মাটি কামড়ে কীভাবে জয় হাসিল করা যায়, বিজেপিকে মূল নিশানা করে তারই টোটকা দেবেন তিনি। যদিও মমতার কথায়, ফি বছর এই দিনে তাঁরা শহিদ তর্পণ করেন। এবারের সভাও তার ব্যতিক্রম নয়। এই সভার সঙ্গে আগামী বিধানসভা ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও বিজেপিকেই যে তিনি তাঁর পয়লা নম্বর শত্রু হিসেবে সামনে রেখে এগতে চান, সেটা শনিবারই বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সরেজমিনে তদারকি করতে এদিন বিকেলে ধর্মতলার সভামঞ্চে যান তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও সমাবেশে রেকর্ড ভিড় হবে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় রবিবার কম ট্রেন চালাবে বলে ঠিক করেছে রেল। এটা ঠিক নয়। সব রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি করার অধিকার আছে। আসলে এর পিছনে বিজেপির খেলা আছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বিজেপি বা অন্য দলের মতো গোটা ট্রেন ভাড়া করার ক্ষমতা নেই। তাই দৈনন্দিন ট্রেনের উপর অনেকটা নির্ভর করতে হয়। ইভিএমের ‘সন্দেহজনক আচরণে’র কারণে ফের ব্যালটে ভোট করানোর দাবিতে সরব বিরোধীরা। জনমত তৈরির জন্য এবারের সমাবেশে এই ইস্যুকে যে তাঁরা বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন, এদিন মমতা ফের তা মনে করিয়ে দেন।
বিজেপি এবারের সমাবেশের সাফল্য নিয়ে আগাম কটাক্ষ করেছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এবার সভা চূড়ান্ত ফ্লপ হবে বুঝে তৃণমূল নানা অছিলার আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। অস্থায়ী শিবিরগুলিতে অঢেল খাবার, ক্যাটারার কর্মী আর পুলিস থাকলেও মানুষ না থাকার ছবিই তার ইঙ্গিত দিয়েছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, হিম্মৎ থাকলে ২১ জুলাই কমিশনের রিপোর্ট জনসমক্ষে আনুন মমতা।