বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু বাংলা ছবি প্রযোজনা করার সময় অভিনেতা প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে রোজভ্যালির প্রযোজনায় একটি ছবিতে অভিনয়ও করেন তিনি। এছাড়া গৌতম কুণ্ডুর সংস্থার সঙ্গে টলিউডের এই নামী অভিনেতার কোম্পানির কিছু চুক্তি হয়। এই বিষয়ে জানতেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়। ইডির নির্দেশমতো এদিন তিনি সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে হাজিরা দেন। প্রথমে গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় কীভাবে হল জানতে চাওয়া হয়। অভিনেতা জানান, টলিউডে ছবি প্রযোজনা ব্যবসায় নামার পরই তিনি রোজভ্যালির নাম জানতে পারেন। এরপর সংস্থার কর্ণধার তাঁর সঙ্গে আলাপ করেন। গৌতমবাবু নিজেকে বড় ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সমস্ত নির্দেশক সংস্থার নির্দেশ মতোই তাঁরা ব্যবসা চালাচ্ছেন। এরপর গৌতম কুণ্ডুর কোম্পানি একটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয় তাঁকে। তিনি সম্মতি দেন। গৌতমবাবুর সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন। পরে সিনেমা প্রচার এবং অন্যান্য বিষয়ে তাঁর কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। টাকাপয়সা লেনদেন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হয়েছিল। কত টাকা লেনদেন হবে, তা তাঁদের মধ্যে হওয়া চুক্তিতেই উল্লেখ ছিল। চুক্তির কপি প্রসেনজিৎ জমা দেন। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক লেনদেনের কাগজও দেওয়া হয়। এর বাইরে তাঁর সঙ্গে রোজভ্যালি কর্তার কোনও যোগাযোগ ছিল না বলে ইডিকে জানিয়েছেন অভিনেতা।
তবে তাঁর জমা দেওয়া নথি ভালো করে পড়ে দেখতে চাইছেন ইডির অফিসাররা। তাতে কী কী ধারা রয়েছে এবং কী কী শর্ত ছিল, তা দেখে নিতে চাইছেন। পাশাপাশি চুক্তির বাইরেও কোনও টাকাপয়সা লেনদেন হয়েছিল কি না, তাও দেখা হচ্ছে। এদিকে, ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, গৌতম কুণ্ডু একের পর অভিযোগ এনে আদালতে পিটিশন করছেন। যে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হলেও চার্জ গঠন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে। গোটা বিষয়টি রোজভ্যালি কর্তা অত্যন্ত কৌশলে করছেন বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।