পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রকের এক কর্তা এদিন বলেন, কোনও প্রদেশে এইমস তৈরি করতে হলে কেন্দ্রের কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠাতে হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে। কিন্তু এক্ষেত্রে রায়গঞ্জের জন্য কোনও প্রস্তাব নবান্ন পাঠায়নি। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক রাজ্যে এইমসের জন্য নির্দিষ্ট একটি কোটা থাকে। পশ্চিমবঙ্গে কল্যাণীতে এই কেন্দ্রীয় হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে। ফলে নতুন করে আর এইমস তৈরি করা যাবে না। ওই কর্তার কথায়, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনায় রাজ্যের কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, মালদহ ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং দার্জিলিং মেডিক্যাল কলেজ। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্পনসর্ড স্কিমে গোটা দেশে ৮২টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ গঠনের দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। যার মধ্যে ১০টি বাংলায় তৈরি হবে। প্রথম পর্যায়ে হবে বীরভূম (রামপুরহাট), কোচবিহার, ডায়মন্ডহারবার, পুরুলিয়া এবং উত্তর দিনাজপুরে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তৈরি হবে বারাসত, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম এবং তমলুকে।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, কংগ্রেস-বাম কিংবা তৃণমূল শাসিত সরকার সর্বদাই উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে রায়গঞ্জে জমি না দিয়ে এইমস আটকেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তার উপর সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের মানুষ তৃণমূলকে কার্যত ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। কারণ, সংশ্লিষ্ট এলাকার আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সবকটিতেই হেরেছেন জোড়াফুলের প্রার্থীরা। বিজেপি’র ঝুলিতে এসেছে সাতটি আসন। অবশিষ্টটি জুটেছে কংগ্রেসের ভাগ্যে। স্বভাবতই উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকার উন্নয়নমূলক প্রস্তাব দিল্লিতে পাঠাবে না, এটাই প্রত্যাশিত।