বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলছুটের কোনও পরিসংখ্যান ওই রিপোর্টে নেই। বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে প্রায় ৫০ লক্ষ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। চতুর্থ শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পর্যায়কে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক হিসেবে গণ্য করা হয়। নবম ও দশম শ্রেণী মাধ্যমিক ও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী উচ্চ মাধ্যমিক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র ভর্তির হার বাড়ছে। তবে তথ্য বলছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র ভর্তির হার অনেক কম। ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে মাধ্যমিক স্তরে ২৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৭০৮ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১৬ লক্ষ ২১ হাজার ৮৬ জন ভর্তি হয়েছে। ২০১১-’১২ আর্থিক বছরে এই সংখ্যা ছিল অনেক কম। ওই বছরে মাধ্যমিক পর্যায়ে ২১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০৭ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৩৫ জন ভর্তি হয়েছিল। তবে সংখ্যায় বাড়লেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের সংখ্যায় বড়সড় পার্থক্য রয়েছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক স্তরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা দু’বছর পর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আসে। ২০১৫-’১৬ আর্থিক বছরে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৫ লক্ষ ১৬ হাজার ২৯৩। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরে তা কমে হয়েছে ১৬ লক্ষের কিছু বেশি। উচ্চ প্রাথমিকের পর স্কুলছুটের কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে কি না, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, শিক্ষার অধিকার আইনে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুল ও শিক্ষকের সংখ্যা ২০১১-’১২ সালের তুলনায় অনেক বেড়েছে।