বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার আলিমুদ্দিনে অনুষ্ঠিত বাম নেতৃত্বের এই বৈঠকে মূলত এই তিনটি কর্মসূচির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। ১৫ আগস্ট এবার মানিকতলা মোড় থেকে মল্লিকবাজার-পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত টানা মানববন্ধন করবে বামেরা। তবে শুধু কলকাতায় নয়, সব জেলাতেই এই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে তারা। ওই দিনের কর্মসূচিতে কংগ্রেসকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানোর প্রসঙ্গ অবশ্য এদিনের বৈঠকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান আদৌ পাড়েননি। যৌথ কর্মসূচি নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসার সুযোগ না হওয়ায় এ নিয়ে এখনই আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা। তবে এসইউসি’র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ওই দিন দলীয় পৃথক কর্মসূচির কথা বলে অংশ না নিতে পারার কথা জানিয়ে দেন। ৩১ আগস্ট খাদ্য আন্দোলনের শহিদ দিবস উপলক্ষে ওয়েলিংটন স্কোয়ারে অবস্থিত ফলকে মাল্যদান ও সংক্ষিপ্ত সভা হবে বলে এদিন ঠিক হয়েছে। পরদিন ১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবসে মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে সার্কুলার রোড, মহাত্মা গান্ধী রোড ও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে মহাজাতি সদন পর্যন্ত মহামিছিল করবে বামেরা। এই দুটি কর্মসূচিতে তাঁরা শামিল হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন চণ্ডীদাসবাবুরা।
এদিনের বৈঠকে নকশালপন্থী একটি সংগঠনের নেত্রী বর্ণালী বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সমস্ত বাম দলগুলির একত্রিত হয়ে একটি মঞ্চ তৈরি এবং ৩৪ বছরের ফ্রন্ট শাসনকালের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে বাম দলগুলির তরফে কুৎসা বন্ধ করার দাবি তুলতেই এসইউসি নেতারা এ নিয়ে আলোচনার প্রতিবাদ জানান। ফ্রন্টের কয়েকটি শরিক দল বর্ণালীদেবীর বক্তব্যকে সমর্থন করলেও এদিনের আলোচ্যসূচিতে বিষয়টি না থাকায় পরবর্তীকালে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। পিডিএসের অনুরাধা পুততুণ্ডর প্রস্তাব মেনে আগামীদিনে বাম দলগুলির তরফে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের ইস্যুতে একটি গণকনভেনশন করার ব্যাপারটি বিবেচনার মধ্যে রাখার কথা জানান বিমানবাবু।