বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন বিত্ত নিগমের বর্তমান চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাস্থ্যের ভগ্নদশার কথা মেনে নিয়ে এ বিষয়ে যথেষ্ট চিন্তিত বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, আমি এক বছর আগে এই সংস্থার দায়িত্বে এসেছি। তবে এটা ঠিক, বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণের কারণে প্রতিষ্ঠানের লোকসানের বহর দিন দিন বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের অনুৎপাদক সম্পদ বা এনপিএ’র পরিমাণ ৬২ শতাংশ। এটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। তবে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচানো যায়, সেজন্য আমরা নানা ধরনের চিন্তাভাবনা করছি। বিষয়টি অর্থ দপ্তরকেও বিশদে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া সুজনবাবুর চিঠি নিয়ে অভিরূপবাবু অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে সুজনবাবু সাংবাদিকদের বলেন, সংসদে আইন পাশ করে দেশের সব রাজ্যেই এই ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিল ১৯৫৪ সালে। পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গ বিত্ত নিগম পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে সুনামের সঙ্গে জনগণের সেবায় তার কাজ পরিচালনা করেছে দীর্ঘকাল ধরে। বাম আমলে যার ধারাবাহিকতা এতটুকুও ক্ষুণ্ণ হয়নি। বরং তা বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে নিগম তার কাঙ্ক্ষিত কার্যকারিতা থেকে সরে এসেছে। অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েছে এই সময়ে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে গত দু’বছরে নতুন করে কোনও ঋণ মঞ্জুর করা হয়নি। কর্মচারীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা হচ্ছে। বাম আমলের শেষ সময়, অর্থাৎ ২০১০-১১ সালে নিগম ২০০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছিল। ২০১৭-১৮ সালে তা কমে এসে ৯৭ কোটিতে এসে থমকে যায়। এই সময়ে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণও ৯.৮ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। কেন এই অবস্থা? কোন কোন ঋণখেলাপির জন্য এই অতি প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে? অনাদায়ী ঋণ আদায়ে আদৌ কি কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নিগম কর্তৃপক্ষ নিয়েছে? না নিলে কেন তারা তা নিতে পারছে না?