বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তিনি বলেন, ‘বিজেপিতে যোগ দেওয়া এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার যেসব কাউন্সিলার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যে ফিরতেই একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। হয় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, না হয় ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, অথবা ভয় দেখানো হচ্ছে। দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর সর্বত্রই এক পরিস্থিতি। ভয় দেখিয়ে তাঁদের ফের তৃণমূলে ফিরতে বাধ্য করা হচ্ছে।’ দিলীপবাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলায় ফিল্ম মাফিয়াদের রাজত্ব চলছে। সেই ভয়কে জয় করে এই তারকারা আজ যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তার জন্য তাঁদের কুর্নিশ জানাই।’ এদিন নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন ১২ জন টলি তারকা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা ঋষি কৌশিক, পার্নো মিত্র, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপা ভট্টাচার্য, কাঞ্চনা মৈত্র, কৌশিক চক্রবর্তী, রূপাঞ্জনা মিত্র, মৌমিতা গুপ্ত, সৌরভ চক্রবর্তী, অরিন্দম হালদার (লামা), দেবরঞ্জন নাগ এবং বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসুও। অঞ্জনাদেবী অবশ্য দীর্ঘদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
ঋষি কৌশিক বলেন, ‘দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি নিরাপত্তা চাইছি। তাই বিজেপিতে আসা।’ আদতে অসমের মানুষ ঋষি কৌশিক সমর্থন করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ইস্যুকেও। পার্নো মিত্র বলেন, ‘মাঠে ময়দানে নেমে কাজ করাটা খুব জরুরি। শুধু ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে সক্রিয় থাকলে হবে না। সেই কাজটিই করতে চাই।’ দলে যোগদানের প্রসঙ্গে সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) থেকে বিজেপিকে কিছু নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল। আজ সেই প্রসঙ্গে পরে দিলীপবাবু বলেন, ‘আরএসএস ঠিকই বলেছে। চাইলেই বিজেপি সদস্য হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা ছেঁকেই বিজেপিতে যোগদান করাব।’ এভাবে একঝাঁক টলিউডের অভিনেতা, অভিনেত্রীদের বিজেপিতে যোগদানের ঘটনাকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। টলি ইন্ডাস্ট্রিতে গেরুয়া সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে বিজেপি এই পদক্ষেপ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিজেপির এই পদক্ষেপে তৃণমূল কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।