বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সূত্রের দাবি, ২০২২ সালে গোটা দেশ থেকে অপুষ্টিজনিত রোগ পুরোপুরি নির্মূল করতে এই ‘পোষণ অভিযান’ প্রকল্প চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যার মাধ্যমে দেশের সমস্ত প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রকল্প রূপায়ণে প্রায় সাড়ে ন’হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১৭-’১৮ সাল থেকে ২০১৯-’২০ সাল—এই তিনটি অর্থবর্ষ জুড়ে এই টাকা অনুদান হিসেবে রাজ্যগুলিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-’১৮ এবং ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে ‘পোষণ অভিযান’-এর জন্য যথাক্রমে ৫৫ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা এবং ১৯২ কোটি ৯৪ লক্ষ ১১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে দুটি অর্থবর্ষে মোদি সরকারের তরফে ২৪৮ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল মমতার প্রশাসনকে। যদিও মন্ত্রক সূত্রে সাফ জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্প চালু করেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে রাজ্যের প্রত্যেক বাসিন্দা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী কৃষক নিধি যোজনায় রাজ্যের ৭০ লক্ষ চাষিকে বছরে ছ’হাজার টাকা করে দেওয়ার আর্থিক অনুদানও নেয়নি নবান্ন। এবার গর্ভবতী মা এবং শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণে নেওয়া কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকেও নিজেদের সরিয়ে রেখেছে তৃণমূলের সরকার। দেবশ্রীদেবীর প্রশ্ন, আদতে এতে কি রাজ্যবাসীর ভালো হচ্ছে?
যদিও এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে শশী পাঁজার অভিযোগ, বিজেপির মন্ত্রী রাজনীতি করতেই এই মন্তব্য করেছেন। এভাবে চলতে থাকলে ওরা তো একদিন বলবে, কন্যাশ্রী প্রকল্প বন্ধ করে দাও। বদলে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও শুরু করো। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকার আইসিডিএস প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের আর্থিক অংশীদারিত্ব কেন কমাচ্ছে? সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মীদের অনুমোদিত পদের সংখ্যা দিল্লি কেন নিজেদের ইচ্ছামতো হ্রাস করছে? কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য অপুষ্টির হার কমানো। রাজ্যে ইতিমধ্যেই তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা এই অপুষ্টির মূল কারণ অনুসন্ধান করেছি। যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাধিক সামাজিক ইস্যু। খাদ্যসাথী, যুবশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ একাধিক প্রকল্পে সেই পরিবারগুলিকে যুক্ত করে সার্বিক মানোন্নয়নে সচেষ্ট রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে তিনি জানান, পোষণ অভিযানের অন্তর্ভূক্ত শিশুদের বৃদ্ধি, কর্মী প্রশিক্ষণ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। যাতে কেন্দ্রীয় অর্থ সংশ্লিষ্ট খাতে খরচ করা যায়।