কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তিনি জানিয়েছেন, ২০২০-২১ সাল থেকে এআইসিটিই এমন কোনও কোর্স পড়ানোর অনুমতি দেবে না, যেগুলিতে চাকরি পাওয়ার সুযোগ কম। তার বদলে এমন সব বিষয়ে জোর দিতে হবে, যার চাহিদা এখন বাজারে আছে। বিষয়গুলি কী? আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেন, রোবোটিক্স প্রভৃতি। কোম্পানিগুলিও এইসব বিষয়ে দক্ষ প্রার্থী চাইছে। এইসব কোর্সের বাইরে এমন আর কোনও বিষয় পড়ানোর ছাড়পত্র দেওয়া হবে না, যা পড়ে চাকরি পাওয়া যাবে না। এ প্রসঙ্গে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র বলেন, চাকরির বাজারে যে বিষয়গুলির চাহিদা নেই, সেগুলি বন্ধ করে নতুন বিষয় চালু করাই তো দরকার। সার্ভিস সেক্টরের উপর জোর দিতে হবে। কারণ এখন এটায় ভালো চাহিদা রয়েছে।
এআইসিটিই’র গবেষণা বলছে, দেশজুড়ে এমন বহু পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের ‘স্পেশালাইজেশন’ বিষয়ের বাইরে অন্য ক্ষেত্রে কাজ করছেন। এতে আখেরে কোনও লাভ যে হচ্ছে না, তা বুঝতে পেরেছন কাউন্সিল কর্তারা। শুধু তাই নয়, এইসব কোর্স নিয়োগকারী সংস্থার চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়। তাতে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদেরই। তাছাড়া চাহিদামতো প্রার্থী না পাওয়ার ফলে চাকরি এবং সংস্থার দাবির মধ্যে ফাঁক তৈরি হচ্ছে। সেরকম যাতে না হয়, তার জন্যও পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিকে, পড়াশুনা শেষ করে পড়ুয়াদের চাকরিযোগ্য করে তুলতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে এআইসিটিই। কী করে টেলিফোনে কথা বলতে হবে, ই-মেলে কীভাবে চিঠি লিখতে হবে ইত্যাদি শেখানো হবে ছাত্রছাত্রীদের। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুদ্ধে জানিয়েছেন, কীভাবে ফিসের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়, কেমন ভাষা প্রয়োগ করতে হবে, এইসব বহু পড়ুয়াই জানেন না। বহু ক্ষেত্রেই এইসব ছোটখাট কারণে অনেকে চাকরি পান না। তাই একটি অনলাইন কোর্স চালু করা হয়েছে। সেখানে এই ধরনের জিনিস শেখানো হবে। প্রত্যেক পড়ুয়াকেই এই কোর্স করতে হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। সব মিলিয়ে এটি ২০ ঘণ্টার কোর্স।