বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
অনশনকারীদের নিরস্ত করতে তাঁদের দাবিদাওয়াগুলি নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনের পরেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। এর পরে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অনশনকারীদের তরফেও একটি প্রতিনিধিদল তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে এই প্রার্থীরা তথ্যাদি জমা দিয়েও আসেন। কিন্তু তারপর আর বিষয়টা এগয়নি। কারণ, শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকদের কথায়, অনেকের র্যা ঙ্কই বহু নীচে। তাঁদের তুলে এনে চাকরি দিলে আইনি জটিলতা হতে বাধ্য। তাছাড়া, দফায় দফায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে। অনশনে ছিলেন না, এমন প্রার্থীরাও দাবি জানাচ্ছেন। সেটাও অন্যায্য নয়। কারণ, অনশন চাকরি পাওয়ার মাপকাঠি হতে পারে না। যদি অনশনকারীরা চাকরি পান, তাহলে যাঁরা তাঁদের চেয়ে ভালো র্যা ঙ্ক করেছেন, তাঁদের আগে নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু এত শূন্যপদই নেই।
এদিকে, অনশনকারীদের মধ্যেও বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষকরা অনশনে একটা বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের বিষয়টা এখন আদালতের বিচারাধীন হওয়ায় তাঁরা নাকি এখন এই দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু প্রার্থীর দাবি, অনেক সময়েই একপক্ষকে লুকিয়ে অন্য একটি প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে গিয়ে তথ্য জমা দিয়েছিল এবং আলোচনায় বসেছিল। তা নিয়ে সাধারণ শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মধ্যেও একটা বিভাজন তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, স্রেফ অনশনে বসেছেন বলে সরকার কাউকে চাকরি দিলে একটা ফ্লাডগেট খুলে যাবে। তখন দলে দলে প্রার্থীরা এসে চাকরির দাবি জানাবেন। সেই অবস্থা সামাল দিতে সরকার কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাও কিন্তু দেখার মতো বিষয় হবে।