পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শুধু গোরু পাচারই নয়, বৈঠকে উঠে আসে জালনোটের কারবারের প্রসঙ্গও। রাজ্য পুলিসের ডিজি’র সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর স্থির হয়, বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিস যৌথভাবে অভিযান চালাবে এবং পাচারকারীদের মোকাবিলা করবে। সীমান্ত এলাকাবর্তী যে পুলিস থানাগুলি রয়েছে, সেগুলিকে আরও বেশি করে সক্রিয় করার জন্য রাজ্য পুলিসের ডিজিকে প্রস্তাব দেয় বিএসএফ। ডিজি তাদের আশ্বস্ত করেছেন, সবরকম সাহায্য করা হবে। যৌথ অভিযান এবং তল্লাশির ক্ষেত্রে বিএসএফের পাশে থাকবে পুলিস। মূলত, রাজ্যে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত এবং সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তাকে কীভাবে আরও আঁটোসাঁটো করে তোলা সম্ভব, তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার আংড়াইলে বিএসএফ জওয়ান আনিসুর রহমান বোমার আঘাতে জখম হওয়ার পর থেকেই বিএসএফের জওয়ানরা রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছেন। বিএসএফের এক শীর্ষকর্তা এদিন ফোন বলেন, ঈদুজ্জোহার জন্য বাংলাদেশে গোরু পাচারের সংখ্যা বাড়ছে। গত এক-দেড় সপ্তাহে দু’-আড়াইশোর কাছাকাছি গোরু রক্ষা করা গিয়েছে পাচারকারীদের হাত থেকে। সন্ধ্যায় অন্ধকার নামতেই উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গোরু পাচারের দাপট বেড়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, বছর কয়েক আগেও প্রকাশ্যে সীমান্ত দিয়ে চলত গোরু পাচার। মাস কয়েক আগে পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে ট্রাকে করে সীমান্তে এসে পৌঁছত গোরু। রাতে বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে পাচারকারীরা এ দেশে দল বেঁধে ঢুকে পড়ত। তাদের সঙ্গে থাকত আগ্নেয়াস্ত্র। তারা এ দেশ থেকে গোরু নিয়ে দেশে ফিরে যেত। গোরু নিয়ে যাওয়া হতো চাষের খেতের মধ্যে দিয়ে। ফলে ফসলের প্রচুর ক্ষতি হতো বলে জানান গ্রামবাসীরা। প্রথম দিকে চাষিরা কমবেশি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের বেধড়ক পেটানো হয়। পরে আর ভয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করেননি। বাধ্য হয়েই অনেকেই খেতে চাষবাস করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। রাতে এলাকা চলে যেত পাচারকারীদের দখলে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিএসএফ জওয়ানদের কড়া নজরদারিতে অবাধ গোরু পাচারের গতি থমকে চায়। গত দেড়-দু’মাস ধরে ফের চোরাগোপ্তা গোরু পাচার শুরু হয়েছে। আবারও বিএসএফ কড়া হতেই গোরু পাচারকারীদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে জওয়ানদের উপর। এদিন বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিএসএফের আইজি বলেন, গোরু পাচার, জাল টাকা এবং নিষিদ্ধ মাদক পাচার রোধে বিএসএফ অনেকটাই সফল হয়েছে। কিন্তু তা মেনে নিতে পারছে না পাচারকারীরা। যে কারণে গুলি ও বোমা নিয়ে জওয়ানদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে পাচারকারীরা। পুলিস যদি সক্রিয় থাকে, তাহলে সীমান্তবর্তী গ্রামের ভিতরেই পাচারকারীরা ধরা পড়ে যাবে। সীমান্তও সুরক্ষিত থাকবে।