রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তবে তন্ময়বাবুর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলের বিভিন্ন স্তরে নেতা-কর্মীদের তরফে নানা ধরনের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়ায় সিপিএম নেতৃত্ব গোটা দলকে এব্যাপারে সতর্ক করল। তবে সরাসরি তন্ময়-কাণ্ডের বা সেই সতর্কতার কথা না বলে একটি বিবৃতি জারি করে পরোক্ষে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তা বোঝানো হয়েছে। তাতে সূর্যবাবু রাজ্যে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরির জন্য বিজেপি’র সঙ্গে সমান দায়ী করেছেন তৃণমূলকেও। তিনি বলেছেন, বিভাজনের রাজনীতির লাইন নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলছে। রাজ্য প্রশাসন শান্তি, সম্প্রীতি ও নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কঠোর হাতে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা-বিদ্বেষ বন্ধ করতে ও সেই শক্তির বিপজ্জনক তৎপরতা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার পরিবর্তে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকদল এক অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। মৌলবাদের বিপদের বিরুদ্ধে সমস্ত শান্তিপ্রিয়, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। এই লড়াইকে দুর্বল করার জন্য বিজেপিকে নিয়ে তৃণমূলের বা তৃণমূলকে নিয়ে বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক বিপজ্জনক প্রবণতা চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।
তন্ময়বাবু বৈদ্যুতিন মিডিয়া বা ফেসবুক পোস্টে যা বলেছিলেন, তার মোদ্দা কথা ছিল, রাজ্যে তৃণমূল জমানায় আরএসএস-বিজেপি’র বাড়বাড়ন্ত হয়েছে নিশ্চয়ই। কিন্তু রাস্তায় যদি জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে কিছু আরএসএস কর্মী একজন নিরীহকে ধরে মারধর করে, তাহলে সেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানোর কাজে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রীর পাশে থাকতে তাঁর আপত্তি নেই।