পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বছর দুয়েক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনও দপ্তরে টাকা ফেলে রাখা যাবে না। তাহলে টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেই টাকায় রাস্তা, উড়ালপুল প্রভৃতি পরিকাঠামো তৈরির কাজ করা হবে। এবার ৩০ জুনের মধ্যে পড়ে থাকা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়। ৩০ জুনের পরে দেখা যায়, ৩৭০০ কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন দপ্তর থেকে ফিরে এসেছে। আরও যদি কোনও টাকা পড়ে থাকে, তার বিস্তারিত হিসেব দেওয়ার জন্য প্রতিটি দপ্তরকে অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশে প্রকল্পের নাম, কত টাকা বরাদ্দ, কত টাকা পেয়েছে, কত খরচ হয়েছে, তার বিস্তারিত তালিকা অর্থ দপ্তরকে দিতে হবে।
মাস দেড়েক আগে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির টাকা খরচের বিষয়ে বিস্তারিত হিসেব রাখতে দুটি সফটওয়্যার চালু করেছে রাজ্যের অর্থ দপ্তর। রাজ্য সরকারের চালু প্রকল্পগুলির জন্য ‘স্কিমেটিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (এসবিএমএস) মডিউল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের খরচের হিসেব ঠিক রাখতে ‘সেন্ট্রালাইজড বাজেট মনিটরিং সিস্টেম’ (সিবিএমএস) মডিউল চালু করেছে অর্থ দপ্তর। ওই দুটি মডিউলে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে হয়। প্রকল্প ধরে ধরে কত টাকা এসেছে, কত টাকা খরচ হয়েছে, কত টাকা খরচ হতে বাকি আছে, কতদিনের মধ্যে বাকি টাকা খরচ হবে এবং অতিরিক্ত খরচ লাগবে কি না, তা মডিউলে উল্লেখ করতে হবে।
অর্থ দপ্তরের এক সিনিয়র অফিসার বলেন, কোন স্কিমের বা প্রকল্পের কাজের কী অবস্থা, তা একলপ্তে জানতেই এসবিএমএস এবং সিবিএমএস মডিউল চালু হয়েছে। প্রতিটি দপ্তর তা ডাউনলোড করে প্রতি মুহূর্তে আপলোড করছে। জেলায় জেলায় কোন স্কিমের কতটা অগ্রগতি, তাও দপ্তরে বসেই জানা যাবে। প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও গতি আনতে এই মডিউল চালু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট বছরের টাকা সেই বছরেই খরচ করতে বলা হয়েছে। টাকা ফেলে রাখা যাবে না। যে দপ্তর ভালো কাজ করবে, তাদের সেই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।