বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এই পরিস্থিতিতে রোগী সহায়কদের একাংশের আবেদন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন। পরিবার-পরিজন নিয়ে তাঁদের সংসার। অনেকেই একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য। চাকরি গেলে তাঁরা যাবেন কোথায়?
সূত্রের খবর, সরকারি খাতায়-কলমে তাঁরা রাজ্যের ১১৬টি হাসপাতালে কাজ করলেও বাস্তবে আরও বহু হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্র তাঁরাই পরিচালনা করে থাকেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন তাঁরা। এমন কর্মীর সংখ্যা কমবেশি ১৩০০।
২০০৯ সাল থেকে রোগী সহায়কের কাজ করা এমনই এক কর্মী বলেন, তখন আমাদের ভাতা ছিল মাসে ৫০০ টাকা। তা ধাপে ধাপে বেড়ে এখন হয়েছে মাসে ৭,১২২ টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্য রোগী সহায়কদের অনেক বেশি ভাতা দেয়। কিন্তু, এখন ভাতা বৃদ্ধি পরের কথা, এনএইচএম সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ায়, তাঁদের ভবিষ্যৎই অনিশ্চিত।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে বাম জমানায় এম আর বাঙুর হাসপাতালে ‘মে আই হেল্প ইউ ডেস্ক’ চালু করে সেখানে এই ধরনের কর্মীদের প্রথম নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল জমানায় সেটাই আরও গোছানো চেহারা পায়। নাম হয় রোগী সহায়তা কেন্দ্র। যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের নাম দেওয়া হয় রোগী সহায়ক। প্রকল্পটি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতাভুক্ত হয়। কলকাতার পাঁচ মেডিক্যাল কলেজ সহ বড় হাসপাতালের অনেকগুলিতেই দুটি করে এমন কেন্দ্র আছে। এক-একটিতে আটজন করে কাজ করেন। এতদিন আরএসবিওয়াই রোগীদের সাহায্য করা, তাঁদের বিমার টাকা পেতে প্রয়োজনীয় সরকারি কাজকর্মে সহায়তা সহ নানা কাজ করতেন ‘রোগী সহায়করা’। আরএসবিওয়াই উঠে যাওয়ায় এখন স্বাস্থ্যসাথী, স্বাস্থ্য দপ্তরের এইচএমআইএস সফটওয়্যার, গ্রিভান্স সেল, রেফার রোগীদের সাহায্য, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে সরকারি কর্তাদের সহযোগিতা করা ইত্যাদি নানা কাজ তাঁরা করেন। কিন্তু, যে খাত থেকে তাঁদের ভাতা আসত, সেই আরএসবিওয়াই উঠে যাওয়ায় এবং ‘আয়ুষ্মান ভারত’ রাজ্যে চালু না থাকায় তাঁদের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। দেখা হচ্ছে।