পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জমি দুর্নীতি ঠেকাতে ভূমি দপ্তর বেশ কিছুদিন আগেই একটি নতুন সফটওয়্যার চালু করেছে। সেই সফটওয়্যারে কোন কোন জমির কী চরিত্র, তা উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি খাস জমি, সরকারি অধিগৃহীত জমি, আদিবাসী জমি, বনভূমি আলাদাভাবে ‘ডিজিটালি ব্লক’ করা থাকে। অনেক সময় নিচুতলার অফিসাররা সেই সব জমির খতিয়ান নম্বর পরিবর্তন করে দেন। জমি আইনের ৬ (৩) ধারায় চিহ্নিত করা জমির চরিত্র বদল করা হয়। জমি কারবারিরা ভূমি দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে যোগসাজশে সেই সব জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চালায়। এই ধরনের অনেক জমি হস্তান্তরের অভিযোগ ওঠে আসানসোল, জলপাইগুড়ি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন ভূমি রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থ।
তদন্ত করার পর সেই সব অভিযোগের সারবত্তা থাকায় ভূমি দপ্তরের অফিসারদের শো’কজ, সাসপেন্ড করা হয়। আরও কিছু অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ভূমি দপ্তরের এক অফিসার জানিয়েছেন। জমিকে কেন্দ্র করেই বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়েছিল। একথা মাথায় রেখেই খুব সতর্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। জমি হস্তান্তরের প্রশ্নে আইনে নতুন সংশোধনী এনেছেন। সহমতের ভিত্তিতে জমি কেনার জন্য জেলাশাসকের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। জমি নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ না আসে সে ব্যাপারে খুবই সর্তক তিনি। তাই কোথায় কোথায় সরকারি জমি, খাস জমি, আদিবাসী জমি, বন জমি রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করেছে ভূমি দপ্তর। সেগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সব জমির হস্তান্তর যাতে না হয়, সে জন্য জেলাস্তরের ভূমি আধিকারিকদের সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য গত সপ্তাহে নবান্নে জেলাস্তরের সব ভূমি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে জমি কারবারিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি দু’মাস অন্তর এই ধরনের বৈঠক হয় বলে ভূমি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।