কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সরকারি মহল মনে করছে, অর্থ দপ্তরের এই বিজ্ঞপ্তি ইঙ্গিত দিচ্ছে, সরকারি সংস্থাগুলির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া এবার শুরু হতে পারে। অর্থ দপ্তর দুই বছর আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সময় জানিয়েছিল, সরকারি সংস্থাগুলির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে। অর্থ দপ্তর আগেই জানিয়েছিল, ২৬টি সংস্থা পুনর্গঠন করা হবে। ২০টি সংস্থাকে অন্যের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে। কোন সংস্থার সঙ্গে ওই ২০টি সংস্থাকে যুক্ত করা হবে, তার তালিকাও সেখানে দেওয়া হয়েছিল। কীভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, তা এখনও অবশ্য সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি। পুনর্গঠনে বেসরকারি সংস্থা অংশগ্রহণ করবে কি না, তাও সরকার ঘোষণা করেনি। কোনও সংস্থা তুলে দেওয়া হবে কি না, সেব্যাপারেও সরকারি তরফে কিছু বলা হয়নি।
তবে অর্থ দপ্তর সরকারি সংস্থাগুলিতে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাতে কিছুটা ইঙ্গিত রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি সংস্থা পুনর্গঠন বা উঠিয়ে দেওয়া হলে সেখানে কর্মরত অস্থায়ী কর্মীদের মানবসম্পদ ও সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের অন্যত্র কাজের ব্যবস্থা করলে তাঁরা কী বেতন পাবেন, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বেতনের পরিমাণ নির্ভর করবে, তাঁরা কত বছর কাজ করছেন তার উপর। ১০ বছর ধরে প্রতি বছর অন্তত ২৪০ দিন কাজ করলে কী কী সুবিধা মিলবে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির নিরাপত্তা, অবসরের পর তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া ছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার সুযোগ, বছরে ৩০ দিন ছুটি ও ১০ দিনের মেডিক্যাল লিভ প্রভৃতি আছে। কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে অস্থায়ী কর্মীর পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।