কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বেশ কিছু কাল ধরে দলের অন্দরে চর্চা এবং সেই মতো কিছু পদক্ষেপ নিয়ে বিভাগটি চালু করলেও এব্যাপারে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে সিপিএম। জাতীয় স্তরে তো বটেই, এরাজ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক কার্যসাধনের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ বিজেপি বা তৃণমূল তাদের কয়েক গোল দিয়েছে। বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদাহরণ থাকলেও স্বেচ্ছা অংশগ্রহণের কারণে তাদের এই বিভাগটির কাজকর্মে বা চেহারায় সেভাবে পেশাদারিত্বের ছাপ লক্ষ্য করা যায়নি। এজন্য অবশ্য খরচের কারণকে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে তুলে ধরছে সিপিএম নেতৃত্ব। তবে দেশের ৬৫ শতাংশ ভোটারের গড় বয়স ৪০-এর নীচে হওয়ায় এখন তাদের নতুন করে এব্যাপারে ভেবে দেখতে হচ্ছে। বিষয়টি আর পুরোপুরি অপেশাদারি মনোভাব নিয়ে দেখা চলবে না বলে বুঝেছেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও। তাই এনিয়ে স্বয়ং সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি নিজেই আসরে নেমেছেন। বিজেপি বা তৃণমূলের মতো নির্দিষ্ট বাজেট না ধরলেও দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের তহবিল থেকে কিছু অর্থ প্রতি মাসে এজন্য ব্যয় করা যায় কি না, তাও এখন তাঁদের চিন্তাভাবনায় রয়েছে। বিষয়টি পার্টি নেতৃত্ব দলের সাংগঠনিক স্তরে অদলবদলেরই একটি অঙ্গ হিসেবে দেখতে চাইছে। আগামী আগস্টে দিল্লিতে ভোটের বিপর্যয়ের পাশাপাশি দলের সংগঠন নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির যে বৈঠক রয়েছে, সেখানে এই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে চর্চা বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিপিএম সূত্রের খবর, বাংলায় দলের সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমান কাজকর্মের হাল-হকিকৎ নিয়ে সম্প্রতি নিজে সশরীরে খোঁজখবর নিয়ে গিয়েছেন ইয়েচুরি। গত শনিবার রাতে তিনি এব্যাপারে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, অমিয় পাত্র’র মতো এই বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্বপ্রাপ্ত বঙ্গব্রিগেডের নেতাদের পাশাপাশি দলের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করেন, এমন কিছু তরুণ পার্টিকর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় কয়েকজন পার্টি সমর্থকও হাজির ছিলেন যাঁরা স্বেচ্ছায় দলের সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য মাঝেমধ্যে কাজকর্ম করে থাকেন। তরুণ সেই পার্টি কর্মী-সমর্থকদের তরফে কেন দলের এই বিভাগটিকে সেভাবে প্রতিপক্ষের তুলনায় পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি, তা মন দিয়ে শোনেন ইয়েচুরি। এর আগে তিনি কেরল বা তামিলনাড়ুর মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে গিয়েও পার্টির সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে আসেন। আরও কিছু রাজ্যেও পার্টির এই নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তিনি রিপোর্ট চেয়েছেন। দলের রাজ্য নেতাদের কাছে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই বিভাগটিকে যেভাবেই হোক আরও শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য অল্পবিস্তর অর্থ বরাদ্দ করা যেতে পারে দলের তহবিল থেকে।