কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দেশজুড়ে কোর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রথমে চালু হয় হেড পোস্ট অফিসগুলিতে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় অধিকাংশ সাব পোস্ট অফিসে। কিন্তু হিসেব বলছে, যে কোনও রাজ্যের বড় অংশ দখল করে রেখেছে গ্রামাঞ্চলের ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস, যেখানে পরিষেবা দেন ‘ডাকসেবক’রা। এতদিন সেখানে কাজ চলত পুরনো পদ্ধতিতে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেই ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসগুলিকেও ‘স্মার্ট’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প নেয় ইন্ডিয়া পোস্ট। এর পোশাকি নাম রুরাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি। গত বছর রাজ্যের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি পোস্ট অফিসে এর পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু তারপর দীর্ঘদিন কাজ এগয়নি। চলতি বছরে সেই কাজে গতি আসে। ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসগুলিতে দেওয়া হয় একটি করে ছোট মেশিন, যেগুলিতে থ্রিজি সংযোগ দেওয়া রয়েছে। ২০ হাজার কর্মচারীকে ট্রেনিং দেওয়া হয় ওই পরিষেবা দেওয়ার জন্য। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, যে গ্রামে এখনও ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছয়নি, সেখানে পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়নি। বাদবাকি জায়গায় তা শুরু হয়ে গিয়েছে।
নয়া প্রযুক্তিতে কী সুবিধা পাবেন গ্রাহক? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, আগে ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসে গ্রাহকরা যে লেনদেন করতেন, তার হিসেব রাখা হতো মূলত সাব পোস্ট অফিসে। কখনও কখনও পাশবই জমা রাখতে হতো গ্রাহককে। এখন ব্রাঞ্চগুলিকে যে ভিডাইস বা যন্ত্র দেওয়া হয়েছে, সেখানেই লেনদেন ‘আপডেট’ করা যাবে। মিলবে রসিদ। এই ব্যবস্থায় যে কোনও ব্র্যাঞ্চে লেনদেনের সুযোগ পাবেন গ্রাহক। রেজিস্ট্রি চিঠিও এখন এইসব পোস্ট অফিস থেকে পাঠানো যাবে। মানি অর্ডারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না গ্রাহককে। কর্তাদের কথায়, এই ব্যবস্থায় ডাকঘরে অ্যাকাউন্ট খুলতেও আগ্রহ বাড়বে। যেহেতু ডিভাইসটি চালনা করবেন ডাককর্মী, তাই সাধারণ মানুষের কোনও ঝক্কি নেই।
পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, দেশজুড়ে এর আগে এত বড় আকারে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপ্লব হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এরাজ্যেও আমরা সেই সুযোগ করে দিতে পেরেছি। যেটুকু জায়গায় এখনও বাকি আছে, সেখানে কীভাবে তা চালু করা যায়, তার জন্য সবরকম চেষ্টা চলছে।
এরাজ্যে মে মাস পর্যন্ত নয়া পদ্ধতিতে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ লেনদেন হয়েছে বলে ডাকবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। ১৪২ কোটি টাকা জড়িত ওই লেনদেনের সঙ্গে। ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসগুলিতে নয়া ডিভাইসের হাত ধরে নতুন করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৭০০টি। সরকার চাইলে ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে যাবতীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা ওই ডিভাইসের মাধ্যমে দ্রুত গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন দপ্তরের কর্তারা।