বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। ফলে এই আবহে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও ভালো ফল করার লক্ষ্যে কোমর বাঁধছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতেই শুধু বাংলার অবস্থা নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজনকে সেই প্রস্তুতি পর্বেরই একটি অঙ্গ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু তৃণমূলকে কোণঠাসা করার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেই সামনে আনছে দল, তাই প্রস্তাবিত সেই বিশেষ আলোচনা সভাতেও ‘তৃণমূলী হামলা-সন্ত্রাস’ নিয়েই বেশি জোর দেওয়া হবে। দলীয় সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে গোটা বাংলার পরিস্থিতিকে মোট চারটি ভাগে ভাগ করার কথা ভাবা হয়েছে। যার মধ্যে থাকছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মতো ইস্যু, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং বাংলার সামগ্রিক হালহকিকত। জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত এই সভাতে মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির লোকসভার চারজন সংসদ সদস্য। তাঁরা কারা, সেই নামগুলোই এবার চূড়ান্ত করছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা নিয়ে এরকম একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করতে উদ্যোগী হয়েছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ। গতকাল সংসদ ভবনেই বিজেপির অন্যতম একজন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বঙ্গ বিজেপির এমপিদের এই উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির চারজন বক্তার নাম অবিলম্বে কেন্দ্রীয় পার্টিকে জানাতে বলেছেন দলের ওই নেতা।
বঙ্গ বিজেপির একজন এমপি বলেন, ‘এই বিশেষ আলোচনা সভা কোথায় হবে এবং কবে হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নেওয়া হবে। রাজ্যের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে বিজেপির যত নেতা-কর্মী এবং সমর্থক খুন হয়েছেন, তার সবিস্তার বিবরণ আমরা সকলের সামনে তুলে ধরব। তাছাড়া রাজ্যের অসহযোগিতার কারণে কীভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন, তাও আমরা প্রকাশ্যে বলব।’ এমনিতেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিজেপির এমপিদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় সারছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যেই আলাদা আলাদাভাবে বাংলার কয়েকজন এমপির সঙ্গে তিনি পরিচয় পর্ব সেরেছেন। চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করবেন বঙ্গ বিজেপির তিন এমপি। মালদহ উত্তরের খগেন মুর্মু, বাঁকুড়ার ডাঃ সুভাষ সরকার এবং বারাকপুরের অর্জুন সিং। সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার হলেও আলাপ পরিচয়ের সময় নির্দিষ্ট করে এই প্রসঙ্গটিও তাঁরা তুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের একেবারে গোড়া থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, কাটমানি সহ একাধিক ইস্যুতে সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে মরিয়া হয়েছে বিজেপি। আগামীদিনে তা আরও বাড়ানো হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে।