পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে এবিষয়ে তন্ময়বাবু রবিবার একটি সাক্ষাৎকার দেন। তাঁর সেই বক্তব্য নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই দলের অন্দরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। দলের সমর্থক অনেকে সেখানে বলছেন, যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একদিন সিপিএমকে সাপের সঙ্গে তুলনা করে পিটিয়ে মারার কথা বলেছিলেন, তাঁর পাশে দাঁড়ানোর কথা মানায় না। তাছাড়া বিজেপিকে সিপিএম একাই মোকাবিলা করতে পারবে। বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তন্ময়বাবু সমালোচকদের উদ্দেশে সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে সেই পোস্টেও সংবাদমাধ্যমে দেওয়া মূল বক্তব্য থেকে একচুলও সরে আসেননি তিনি।
তন্ময়বাবুর কথায়, এ রাজ্যে বিজেপি’র বাড়বাড়ন্তের জন্য অবশ্য তৃণমূল দায়ী। গত কয়েক বছরে রাজ্যে আরএসএস-এর শাখা ১২০ থেকে বেড়ে ১২০০-এ পৌঁছতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ও সরকারের কাছ থেকে। এই শাখাগুলির বেশিরভাগই আবার সরকারি সম্পত্তির উপর তৈরি। বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর আন্তরিকতার প্রমাণ দিতে হলে আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ওই সব সরকারি জমি উদ্ধার করতে হবে। আমি এই বিষয়গুলি বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে বলেছি। কিন্তু রাজনীতিতে অস্পৃশ্যতার স্থান হতে পারে না। বিজেপি সেই অস্পৃশ্যতাকেই অবলম্বন করে গোটা দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে জয় শ্রীরাম ধ্বনির নামে গণপিটুনি দিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এখন যদি মধ্যমগ্রামে ১০ জন আরএসএস কর্মী জয় শ্রীরাম স্লোগানকে সামনে রেখে একজন নিরীহ ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়, তাহলে তা দেখে আমি অবশ্যই তাঁকে রক্ষা করতে যাব। সেই সময় যদি তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা শাসকদলের প্রথম সারির নেতা) সেই মানুষটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন, তাহলে কি আমি তাঁকে দেখে সরে আসব? কখনওই না। আমি প্রয়োজনে জ্যোতিপ্রিয়র পাশে থেকেই সেই কাজে হাত লাগাব। আসলে ইস্যুর উপর রাজনীতির অবস্থান ঠিক হয়। আমার এই কথার অনেকে বিকৃত ব্যাখ্যা করছেন কেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না।