কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অবৈধ টোটো বাতিলের দাবি নিয়ে হওয়া মামলায় রাজ্যের অনুরোধ মেনে আদালত এমন গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছ’মাস সময় দিয়েছিল। অর্থাৎ, এদেশে তৈরি টোটো’র রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে বলেছিল। কিন্তু, সেই সময়সীমার মধ্যে সারা রাজ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ না হওয়ায় আরও সময় চেয়ে রাজ্য আবেদন করে হাইকোর্টে। তারই জেরে সময় বরাদ্দ করতে চলেছিল বেঞ্চ। এই অবস্থায় টোটো’র পেটেন্ট প্রাপক মামলাটিতে যুক্ত হতে চান। তিনি আদালতকে জানান, ভারত সরকার তাঁকে ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্যাটারিচালিত এই পরিবেশবান্ধব গাড়ির পেটেন্ট দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ২০১৫ সালের ১৭ জুনের রায়ে সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও এদেশের সব টোটো উৎপাদক তাঁদের পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে যথেচ্ছভাবে টোটো তৈরি, বিক্রি, আমদানি করছে। তাই তাঁর প্রাপ্য রয়ালটি না দেওয়া হলে রাজ্য কোনওভাবেই এই টোটো উৎপাদকদের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন দিতে পারে না। এই দাবিতে আপাতদৃষ্টিতে যুক্তি আছে বলে মনে করায় আদালত উপরোক্ত নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মামলাকারীদের অভিযোগ, এদেশে তৈরি টোটোর তুলনায় চীনা যন্ত্রাংশ আমদানি করে বানানো টোটোর সংখ্যাই বেশি। যা বেআইনি বলে গণ্য হওয়া উচিত। অন্যদিকে, এদেশে তৈরি টোটো যদি পেটেন্ট প্রাপককে প্রাপ্য রয়্যালটি না দিয়ে থাকে, তাহলে সেগুলিও আইনত বাতিল হওয়া উচিত। এই অবস্থায় ওয়াকিবহাল মহলের মতে, টোটোর ভবিষ্যৎ আপাতত সঙ্কটে।