কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, সোমবার কয়েক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টি হয়তো হবে। যে নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি এনেছে, তা খানিকটা নীচের দিকে নেমে বাংলাদেশ লাগোয়া হয়েছে। তার জন্য উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি কমেছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির জন্য আপাতত ওই অক্ষরেখাই ভরসা। তবে নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার পরিস্থিতি এখনই নেই।
এদিকে বৃষ্টির ঘাটতি থাকায়, চাষ নিয়ে সঙ্কটে চাষিদের একাংশ। হুগলির কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, গত বছর বর্ষায় মরশুমে যে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল, তা নয়। ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি কম ছিল হুগলিতে। কিন্তু সেটা পরবর্তীকালে ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে যে বৃষ্টি হয়, তা খানিকটা সুবিধা করে দিয়েছিল। সেই জল কিছু নদী-নালায় সামান্য রয়ে গিয়েছে। কিন্তু যেভাবে রোদ বাড়ছে, তাও শুকিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়। জেলায় এখনও অধিকাংশ কৃষক ধানের চারা রোপন করা শুরু করেননি বলেই জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। বলেন, মে মাস পর্যন্ত তবু হিসেব ঠিক ছিল। জুন ও জুলাইয়ের এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি ঘাটতি রয়েছে ৫০ শতাংশ। এতটা কম বৃষ্টি সাহস জোগাচ্ছে না চাষিদের। ৮০ শতাংশ সেচ অধ্যুষিত হুগলিতে অবশেষে সেচের জলই ব্যবহার করা হবে কি না, তার দিকেই নজর তাঁদের। কিন্তু আর বেশিদিন ধৈর্য রাখা যাবে না বলেই মনে করছে কৃষি দপ্তর। সেক্ষেত্রে সেচে চাষের খরচ বাড়বে। তাতে ফসলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কাও এড়িয়ে যেতে পারছেন না দপ্তরের কর্তারা।
তবে সব জায়গাতেই যে পরিস্থিতি খারাপ, তা নয়। মুর্শিদাবাদের কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর তাপস কুণ্ডুর কথায়, আমাদের জেলায় যদি শুধু জুন মাসের নিরিখে বৃষ্টির বিচার করা যায়, তাহলে ৭০ শতাংশ ঘাটতি ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এখন মোটেই ততটা খারাপ নয়। মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিককালে ভালো বৃষ্টি হওয়ায়, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সময়ের নিরিখে ঘাটতি নেমে এসেছে প্রায় ২০ শতাংশে। এদিকে, যে সময়টা বৃষ্টি কম ছিল, তখন চাষিরা বীজতলা তৈরির কাজে হাত দেননি। এখন সেই পরিস্থিতি বদলেছে ও চাষের কাজে গতি এসেছে। ফলে এই জেলায় অন্তত সমস্যা সেভাবে নেই।