পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি কর্মী সমীর কর্মকারের অভিযোগ, দলের চার নম্বর মণ্ডল সভাপতি টাকার বিনিময়ে সদস্য করাচ্ছেন। যদিও কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, মিসড কল, অনলাইন কিংবা অফলাইন- যে কোনও মাধ্যমেই আগ্রহীরা বিনা পয়সায় দলের সদস্য হতে পারবেন। রাজ্যের বহু প্রান্ত থেকেই এইভাবে টাকা তোলার অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। দলের রাজ্য কমিটির এক নেতার কথায়, প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় তৃণমূল-সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা কর্মী-নেতাদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাঁদের অনেকেই নিজেদের পুরনো অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেননি। তাঁদের বুঝতে হবে, বিজেপি করতে হলে দলীয় আদর্শে নিজেকে শুদ্ধ করতে হবে। না হলে অন্য পথ দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, খণ্ডঘোষ এলাকার কর্মীরা পকেট থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে বাস ভাড়া করে অভিযোগ করতে পার্টি অফিসে এসে নজির তৈরি করেছেন। একাধিক জেলায় এই অভিযোগ উঠলেও কেউ এই সাহস করে লিখিত অভিযোগ করেনি। কিন্তু দলীয় সূত্রে বিভিন্ন অভিযোগ আমাদের কাছে পৌঁছচ্ছে। পর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির এক নেতার কথায়, এখানে বিজেপিতে নাম তোলার হিড়িক পড়েছে। দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, এই দাবি করে নিচুতলার অনেক নেতা-কর্মী যেমন পারছেন টাকা তুলছেন। অধিকাংশই তৃণমূল থেকে আগত। বাঁকুড়া-নদীয়া থেকেও এই ধরনের টাকা তোলার অভিযোগ আসছে। অনেক ক্ষেত্রে আগামীদিনে জেলা কিংবা ব্লকে পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও টাকা তুলছে দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। লোকসভা ভোটের ফল দেখে জার্সি বদলে বিজেপিতে নাম লেখানোর হুজুগে প্রতিদিন হাজার হাজার কর্মী গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। তবে অন্যদলের মতো মুখে-মুখে যোগ দেওয়া নয়। বিজেপির সংবিধান মেনে প্রত্যেককে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক। আর সেই নিয়মকেই ‘ফাঁদ’ হিসেবে ব্যবহার করে জেলায় জেলায় টাকা তোলার কারবার শুরু করেছে নব্য বিজেপির নিচুতলার নেতাদের একাংশ।