বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন প্রায় সব সংগঠনই এই খসড়া নীতির বিরোধিতা করেছে। বাংলার কোনও সংগঠনের সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় কর্তারা কথা বলেননি, সেই ক্ষোভের কথাও উঠে এসেছে শিক্ষক নেতাদের বক্তব্যে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্রের মতে, শিক্ষায় বেসরকারিকরণ এবং বাণিজ্যিকীকরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়টি অবৈজ্ঞানিক। আবার পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, আমরা গোটা দেশে একরকম সিলেবাস চাই। সব জায়গাতেই যাতে একই পাঠ্যক্রম পড়ুয়ারা পড়ে, সেই দাবি করছি। অল বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সমর চক্রবর্তী এই খসড়ার চরম বিরোধিতা করে রাস্তায় নামার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি, একটি মিছিলের আয়োজন করা হোক। সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করব। তাছাড়া এই খসড়ার বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিবাদ করে ১৭ জুলাই বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান করা হবে। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক সংগঠনগুলির মধ্যে কয়েকজন নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে পেরেছে। বাকিদের অবশ্য চিঠি জমা দিয়ে যেতে বলেন মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িও এই খসড়া শিক্ষানীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় ধোঁয়াশা রয়েছে। কিছু জায়গায় আবার আপত্তি রয়েছে আমাদের। সেগুলি আমাদের আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী পরে জানিয়ে দেন, এদিন যা আলোচনা হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ধাপে ফের আলোচনা করা হবে। তবে বাংলাকে যেভাবে এই খসড়ায় বঞ্চিত করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রতিবাদ করা হবে। রাস্তায় নেমে নয়, প্রথমে লিখে সেই প্রতিবাদ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের কলমের জোর ফুরিয়ে যায়নি। আপত্তির কথা দিল্লিকে লিখে জানাব। সবটা আগে ভালো করে পড়াশোনা করেই মাঠে নামব আমরা।
বৈঠক ছাড়াও এদিন অবস্থানরত প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মন্ত্রী। আলোচনা না করে কেন রাস্তাকে বেছে নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে যদি দেখা যায়, এই শিক্ষকরা ছুটি না নিয়ে এই আন্দোলন করছেন, তাহলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। চলতি মাসেই প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে একটি সভা করা হবে। সেখানেই এই শিক্ষকদের নিয়ে যা ঘোষণা করার করা হবে। কাউকে আলাদা করে কিছু বলা হবে না।