বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আমানতকারীদের গচ্ছিত রাখা টাকা কোথায় গেল, সারদা তদন্তে ইডি সেই বিষয়কেই প্রাধান্য দিচ্ছে। একইসঙ্গে সারদা কর্তার সঙ্গে যাঁদের ঘনিষ্ঠতা ছিল, তাঁদের এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই ও ইডি। তাঁরা বিভিন্নভাবে সারদা কর্তাকে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ। এর বিনিময়ে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পেয়েছিলেন। তার কিছু প্রমাণ ইডির হাতে এসেছে। যে কারণে এই সব প্রভাবশালীদের জেরা করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে তাঁদের জেরা করলেও বিশেষ কোনও তথ্য পাননি অফিসাররা। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আরও নথি জোগাড়ের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, সম্প্রতি সারদার আর্থিক লেনদেনের বেশ কিছু কাগজ তাঁদের কাছে এসেছে। যেগুলিকে তথ্যপ্রমাণ হিসেবেই দেখছেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতে দেবব্রত মজুমদার, ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়াল, সজ্জন আগরওয়াল, তৃণমূলের এমপি শতাব্দী রায় সহ মোট ছ’জনকে ডাকা হয়েছে।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেবব্রত মজুমদারের মাধ্যমে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের পরিচয় হয় ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়ালের। সেবির বেশ কিছু অফিসারের সঙ্গে সন্ধির আগরওয়ালের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাঁদের সঙ্গে সারদা কর্তার যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই কাজ করেছেন সন্ধির। সিবিআইও একই তথ্য পেয়েছে। এই সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাঁরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে। সারদা গোষ্ঠীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন তৃণমূলের এমপি শতাব্দী রায়। এক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর কী লেনদেন হয়েছিল, তা জানা দরকার ইডির। এতদিন তদন্ত চালানোর পর এই ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি তদন্তকারী সংস্থার। যে কারণে শতাব্দী রায়ের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইবেন অফিসাররা। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না মেলায় সারদা মামলায় এখনও চার্জশিট জমা দেয়নি ইডি। ইডির এই তলব নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এর সঙ্গেই ডাক পড়েছে সারদার এক সময়ের প্রভাবশালী এজেন্ট অরিন্দম ওরফে বুম্বার। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার এজেন্ট ছিলেন। সারদার টাকা তিনিও আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ইডির হাতে যে নতুন তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতেই সবাইকে জেরা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।