পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কৃষিতে রাজ্যের পারফরম্যান্স ভালো। একইভাবে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি আইন ২০০৫ (চালু কথায় একশো দিনের কাজ) মোতাবেক ক্ষমতায় আসার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে মানুষকে কাজ দেওয়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, মানুষকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০১৭-১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গে যথাক্রমে ৩১ কোটি ২৫ লক্ষ ৫৫ হাজার শ্রমদিবস (পার্সনডেজ) তৈরি হয়েছে। যা গোটা দেশে সর্বোচ্চ। পরের বছরও রাজ্য সেরা। সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আগের হিসেব টপকে পশ্চিমবঙ্গে ৩৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৬৯ হাজার শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে।
শ্রমদিবসের পাশাপাশি অর্থ খরচের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশের কী অবস্থা, তা সরকারের কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি ডাঃ মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। তারই উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছেন, শ্রমদিবস তৈরির ক্ষেত্রে তো বটেই, অর্থ খরচের ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছিল। যার পরিমাণ ৭ হাজার ৯১৩ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা।
বাংলার এই কাজের উৎসাহ দেখেই চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গকেই সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। একশো দিনের কাজে চলতি আর্থিক বছরে ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৯৪৮ কোটি ৯৬ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে বাংলাকে অনুসরণ করে খরচের গতি বাড়িয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি।
একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে লাগাতার এই সাফল্যের বিষয়টিকে তৃণমূল নিজেদের সরকারের সাফল্য হিসেবে প্রচার করবে বলেই ঠিক করেছে। একইসঙ্গে একশো দিনের কাজের মজুরি কমপক্ষে ৩০০ টাকার করার (বর্তমানে রয়েছে ১৮৭ টাকা) দাবিও করা হবে। কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন্দ্র কেন দু’ থেকে আড়াই মাস টাকা আটকে রাখছে, তা নিয়েও প্রয়োজনমতো সংসদে জোরালো আওয়াজ তোলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলীয় তরফে। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য, কাজ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার যখন জানায় তখনই এমআইএস অর্থাৎ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে আসে। সেই মতোই রাজ্যকে টাকা দেওয়া হয়।