গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রয়াত নেতা প্রমোদ দাশগুপ্তর ১১০ তম জন্মদিন উপলক্ষে এদিন দলের বকলমে তাঁর নামে তৈরি ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিতে এসেছিলেন ইয়েচুরি। সেই সভায় মুখ্য বক্তা হিসেবে বলতে উঠে তিনি বিজেপি’র বিপদ নিয়ে বিস্তর উদ্বেগ ব্যক্ত করে বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে চারটি বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন। এই চারটি বিষয়ের মধ্যে অবিলম্বে গেরুয়া শিবিরের নানা ধরনের অবৈজ্ঞানিক ভাবনা ও অন্ধবিশ্বাস সংক্রান্ত প্রচারের মোকাবিলায় মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা বৃদ্ধির উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেন। এজন্য বিজ্ঞান মঞ্চের মতো সংগঠনকে আরও সক্রিয় হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। বিজ্ঞান সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সীতারাম দেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্ব খর্ব করা থেকে শুরু করে দ্বিতীয় মোদি সরকারের জনস্বার্থবিরোধী পদক্ষেপগুলির বিরুদ্ধে এই বৃহত্তর মঞ্চ তৈরির আবশ্যিকতা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে নাগরিক স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্যও এই মঞ্চের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি এদিন একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া শিবির তাদের লক্ষ্যপূরণে মাসে ১৩২ কোটি টাকা খরচ করছে। কর্মীদের মোটরবাইকের তেলের অর্থ থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ দিচ্ছে বিজেপি। এই কায়দায় তারা লোকসভা ভোটে ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচের রেকর্ড স্থাপন করেছে।
নাম না করলেও এ রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরোধিতায় এই ধরনের বৃহত্তর মঞ্চে কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনের পথে যে তাঁরা হাঁটতে চলেছেন, সেটা এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ইয়েচুরি। এনিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের এই চার ধরনের বিষয়ের উপর আন্দোলনের ভাবনার সঙ্গে কংগ্রেস প্রাথমিকভাবে সহমত হয়েছে। সম্প্রতি এনিয়ে বাংলার এমপি প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলায় সেই আন্দোলনের রূপরেখা কেমন হবে, সে ব্যাপারে দু’দলের নেতৃত্ব শীঘ্রই আলোচনা করবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সম্প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা এক কথায় হাস্যকর। ক্ষমতা দখলের পর এ পর্যন্ত তৃণমূলের হাতে আমাদের ২৯৪ জন কর্মী খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার। ঘরছাড়া হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি সমর্থক। সবচেয়ে বড় কথা, বিজেপি’র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার রাস্তায় হাঁটছে তৃণমূল। রামনবমী, হনুমান জয়ন্তীর মতো উৎসবে তা সবাই দেখেছে। এভাবে বিজেপি’র আরও সুবিধা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ এখন তৃণমূল বিরোধী। এই অবস্থায় তৃণমূলের পাশে থাকার মাধ্যমে বিজেপি’র আরও সুবিধা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আগে এসবের জন্য প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার করুন। তারপর আমরা তাঁর প্রস্তাব নিয়ে ভেবে দেখব।