পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবুবের বাড়ি বীরভূমে। ধৃত জেএমবি জঙ্গি কওসরের হাত ধরেই সংগঠনে নাম লেখায়। অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরিতে অত্যন্ত পারদর্শী সে। শিমুলিয়া মাদ্রাসাতে সে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ইউসুফের কাছ থেকে। সংগঠনের হয়ে কাজ শুরু করার পর সে চলে আসে বর্ধমানের বাবুরবাগে। সেখানে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। এখানে বসেই জেএমবির হয়ে কাজকর্ম চালাচ্ছিল। এই বাড়িতে তৈরি করা হতো গ্রেনেড থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক। একইসঙ্গে বোলপুর মডিউল সে নিয়ন্ত্রণ করত।
খাগড়াগড়-কাণ্ডের পরই সে পালিয়ে যায় রাজ্য ছেড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কয়েকদিন লুকিয়ে থাকার পর সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়। সেখানে কিছুদিন কাটিয়ে ফিরে আসে ভারতে। কওসরের সঙ্গেই যোগাযোগ করে দক্ষিণ ভারতে আশ্রয় নেয়। সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করে। একইসঙ্গে বেঙ্গালুরুতে কওসর বিস্ফোরক তৈরির যে গবেষণাগার খুলেছিল, সেখানে নতুন কায়দায় বিস্ফোরক ও সার্কিট তৈরি শেখে। রাজমিস্ত্রির কাজের আড়ালে কওসর তাকে দায়িত্ব দেয় নতুন সদস্য নিয়োগ করতে। যাতে রাজ্যে নব্য জেএমবির সংগঠন তৈরি করা যায়। এজন্য জেহাদি ভাবধারার প্রচারও শুরু করেছিল। বেশকিছু যুবককে সে নিয়োগও করে। যাদের বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠানো হয় এ রাজ্যে। যারা এখন মালদহ ও মূর্শিদাবাদ জেলায় কাজ করছে।
কওসর ধরা পড়ার পর হবিবুরকে নব্য জেএমবির বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে এই নির্দেশ আসে। সেইমতো সংগঠনকে নতুনভাবে সাজানোর কাজ শুরু করেছিল। এই কাজে সে কয়েকবার এ রাজ্যে ঘুরেও যায়। সীমান্ত লাগোয়া জেলায় জেহাদি প্রশিক্ষণ শিবিরও করে। এনআইএ’র কাছে খবর আসে, সে বেঙ্গালুরুতে বসে জেহাদি সংগঠন দেখভাল করছে। এরপরই একটি টিম সেখানে হানা দেয়। বেশ কিছুদিন নজর চালিয়ে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। এগুলি যাচাই করার কাজ চলছে।