পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যদিও বিষয়টি বিজেপি ও মিডিয়ার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, গতবার ১০০দিনের কাজের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য যেসব জবকার্ডে বেশিদিন কাজ হয়েছে তাঁদেরই কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যাতে খাতায় কলমে গড় কর্মদিবস বাড়ে। গ্রামে মিটিং করে সিদ্ধান্ত হয়েছিল জবকার্ডে বেশিদিন কাজ থাকা শ্রমিকদের নামই মাস্টার রোলে থাকবে। কিন্তু সবাই কাজ করবেন। তাঁদের অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত টাকা ঢুকলে তা তুলে সবাইকে ভাগ করে দেওয়া হবে। এদিন তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে বুথ সভাপতি বাকি শ্রমিকদের দিয়েছেন। সেটিকেই কাটমানি হিসেবে চালানো হচ্ছে।
সিউড়ি-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, বিজেপি ও মিডিয়া এসব রটাচ্ছে। কোনও কাটমানি ফেরত নয় গ্রামবাসীদের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাকা দিচ্ছিলেন বুথ সভাপতি। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, আমার কাছে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখব। প্রসঙ্গত, এদিন চাতরার পাশে খন্না গ্রামেও স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে কাটমানি ফেরতের দাবি জানান এলাকার বাসিন্দারা।
গত ১৮জুন মুখ্যমন্ত্রী নজরুল মঞ্চে কাটমানি নিয়ে থাকলে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপর ইলামবাজারে কাটমানি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এবার কাটমানি ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন চাতরা গ্রামের জলট্যাঙ্কির নীচে বসে গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি ত্রিলোচন মুখোপাধ্যায় ১৪১জন গ্রামবাসীর হাতে ১৬১৭টাকা করে প্রায় ২লক্ষ ২৮হাজার টাকা তুলে দেন। টাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীদের কাছে সইও করিয়ে নেওয়া হয়। ১০০দিনের কাজ প্রকল্পে ড্রেনের কাজ করেও সেই টাকা বুথ সভাপতি আটকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত মাস আগে চাতরা গ্রামে ড্রেন নির্মাণের কাজ হয়। দু’মাস আগে সেই কাজের টাকা বুথ সভাপতির পছন্দের কিছু অ্যাকাউন্টে ঢোকে। এরপরেই বাকি শ্রমিকরা টাকা ফেরত চান। কিন্তু সেসময়ে দাপুটে তৃণমূল নেতা ভ্রুক্ষেপ করেননি। পরে গ্রামে বিজেপির ক্ষমতা বাড়তে থাকে। ভোটের সময়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষও হয়। পরে কাটমানি নিয়ে শোরগোল পড়তেই বিজেপি নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার বুথ সভাপতিকে চেপে ধরে কাজের হিসেব চান। তখনই দেখা যায় মোট ২লক্ষ ৪৫হাজার টাকার ড্রেন তৈরির কাজ হয়েছিল। যারমধ্যে ২লক্ষ ২৮হাজার টাকা শ্রমিকদের প্রাপ্য। এরপরেই কাজ করা ১৪১জন শ্রমিকের টাকা দিতে বলা হয়। সেইমতো মঙ্গলবার টাকা বিতরণ শুরু হয়। যা বিজেপি স্যোশাল সাইটে ভাইরাল করে দেয়। আরতি মাল, খুশি মালরা বলেন, আমরা ১০০দিনের কাজ করেও টাকা পাচ্ছিলাম না। বুথ সভাপতি টাকা আটকে রেখেছিলেন। চাপ দিতে এদিন তিনি টাকা দিয়েছেন। যদিও বুথ সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে গেলেও তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।