গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিয়মিতভাবে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেন। আজও তা নিয়েই কথা হয়েছে। আজই বীরভূমে বিজেপির এক কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। সেটিও আমি অমিত শাহকে বলেছি। ভাটপাড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিজেপির তিন সদস্যের যে সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে পাঠানো হয়েছিল, তারাও শীঘ্রই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবে।’ পরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, ‘জরুরি অবস্থা কী, তা জানতে হলে কাউকে পশ্চিমবঙ্গে যেতে হবে। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলায় জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে কোনও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই করতে পারছেন না।’ কার্যত কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সুরেই এদিন লোকসভায় রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপবাবুও।
আজ লোকসভায় তিনি বলেছেন, ‘অতীতে যে বাংলা সারা দেশকে দিশা দেখাত, সেই বাংলায় এখন উদ্ভব হয়েছে একটি নতুন শব্দের। কাটমানি। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এর আবিষ্কার করেছেন। উন্নয়ন খাতে যেসব টাকা রাজ্য পায়, সেই উন্নয়নের সুবিধা পেতে গেলে উপভোক্তাদের উল্টে বাড়তি অর্থ নেতাদের পকেটে দিতে হয়। এটাই কাটমানি। আর তা নিয়েই তৃণমূল এখন নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের এতই জনপ্রিয় শাসক দল, দলে দলে তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।’ এরপরেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির অভিযোগ তুলে দিলীপবাবু বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমনই সোনার বাংলা উপহার দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে আর কোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই নেই। এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশের কোথাও অশান্তি হয়নি। যাবতীয় হিংসার ঘটনা ঘটেছে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে। এখানে ভোটার অবশ্যই আছেন। কিন্তু তাঁদের ভোটদানের অধিকার নেই। শুধুমাত্র হেরে যাবে বলে রাজ্যের ১৮টি পুরসভার নির্বাচন করাতেই ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।’
দিলীপবাবুর অভিযোগ, যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তৃণমূল দিচ্ছে, তা আদতে বাংলাদেশের। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যকে পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরি করতে চাইছে। নিজেদের লোক না থাকায় বাংলাদেশ থেকে অভিনেতাদের নিয়ে এসে নির্বাচনী প্রচার করাতে হয়েছে। জিএসটির ফলে সবথেকে বেশি লাভ পশ্চিমবঙ্গের হলেও এর বিরোধিতা তৃণমূল জারি রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রাজ্যের অসহযোগিতার জন্য আয়ুষ্মান ভারত, কিষাণ সম্মান নিধির মতো একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বাংলার মানুষ পাচ্ছেন না বলে তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন মেদিনীপুরের বিজেপি এমপি।