পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে এমপি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এদিন খুব বেশি সময় সংসদে ছিলেন না তাঁরা। কিছুক্ষণ থেকেই চলে যান। দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে লোকসভার নিয়মকানুন বুঝে নিয়েছেন উভয়ে। আগামীকাল সুযোগ পেলে জিরো আওয়ারে জনকল্যাণমূলক বিষয় নিয়ে বলবেন বলে তৈরিও হচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার তৃণমূলের অন্য এমপিদের শপথ নেওয়ার সময় বিজেপি বেঞ্চ থেকে সমানে জয় শ্রীরাম স্লোগান, তার পাল্টা জয় কালী, জয় বাঙালির তরজা শোনা গেলেও নুসরত এবং মিমির ক্ষেত্রে এদিন তা হয়নি। তবে শপথবাক্য পাঠ করার পর জয় বাংলা, জয় হিন্দ এবং বন্দেমাতরম বলেন তাঁরা।
অন্যদিকে, বিজেপি তথা মোদি বিরোধিতা বজায় রেখে এদিনও সংসদের উভয়কক্ষে তোপ দাগল তৃণমূল। রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান রাজ্যকে পাঠানো অ্যাডভাইসরি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় অহেতুক হস্তক্ষেপের অভিযোগ সহ নির্বাচনী সংস্কার, সদ্য লোকসভা নির্বাচনে জলের মতো খরচের জন্য বিজেপির টাকা কোথা থেকে এল? তোলেন প্রশ্ন। আজ জরুরি অবস্থার ৪৪ বছর পূর্তির কথা মাথায় রেখে মোদি জমানাও কোনও অংশ তার চেয়ে কম নয় বলেও তোপ দাগেন ডেরেক।
লোকসভায় সরব হন দলের নতুন এমপি মহুয়া মৈত্র। পশ্চিমবঙ্গকে যেভাবে বিজেপি টার্গেট করেছে, অহেতুক অশান্ত করার চেষ্টা করছে, তা নিয়ে প্রতিবাদ করেন। হিন্দিতে কবিতার অংশ উল্লেখ করে বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ক্ষমতায় এসেছেন বলে মাথা কিনে নেননি। এই দেশটা সবার। তাই গণতান্ত্রিক ভারতের কেউ মালিক মনে করলে ভুল করবেন। মন্তব্য করেন মহুয়া। তাঁর বক্তব্যের সময় বিজেপি বেঞ্চ থেকে সামান্য হল্লা হয়।
তবে তার পাল্টা হিসেবে বিজেপির বাংলার এমপি দিলীপ ঘোষ যখন লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমালোচনা চালিয়ে গেল, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। বিষয়টি পরিকল্পনা বলেই দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়ান বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ কী বললেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করে গুরুত্ব বাড়াতে চাই না।’ তাই দিলীপবাবুর বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা থাকলেও টিএমপি বেঞ্চ ছিল চুপ। একইভাবে রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত এমপি স্বপন দাশগুপ্ত তৃণমূলের প্রবল সমালোচনা করলেও পরিকল্পনা মাফিকই কোনও প্রতিবাদ দেখা গেল না। তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করে স্বপনবাবু রাজ্যসভায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে তৃণমূল বিশ্ব বাংলা নয়, বিষাক্ত বাংলায় পরিণত করেছে।