কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত কয়েক মাসে ফরাক্কা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। মাস দুয়েক আগেও সাত লক্ষ টাকার জাল নোট সহ দুই ব্যক্তি ধরা পড়ে। রাজ্য পুলিসের অফিসাররাই এগুলি উদ্ধার করেছেন। এই এলাকা দিয়ে বাড়ছে জাল নোটের কারবার। জেলা পুলিসের কাছ থেকে জাল নোটের কেসের তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ। সেই তদন্ত করতে গিয়েই এনআইএ’র অফিসাররা জানতে পেরেছেন, ফরাক্কা দিয়ে বেশি জাল নোট ঢুকছে। যা কলকাতা হয়ে দেশের অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে।
কিন্তু কেন? তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, ফরাক্কার উল্টোদিকে রয়েছে বাংলাদেশের চাঁপাই-নবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলা। ঘটনাচক্রে চাঁপাই-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ভারতীয় নোট ছাপার কারখানা রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ,স্টকইয়ার্ডও। বাংলাদেশের যে সব জায়গায় সবচেয়ে বেশি ভারতীয় জাল নোট ছাপা হয়, তার মধ্যে চাঁপাই-নবাবগঞ্জ জেলা উপরের সারিতে রয়েছে। নদীপথে সহজেই এখান থেকে ফরাক্কায় ঢুকে পড়া যায়। যেহেতু জলপথের একটা বিস্তীর্ণ অংশ অরক্ষিত, তাই এই রুটকেই এখন বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে খবর। কোনও বাধা ছাড়াই অনেক সহজে জাল নোট নিয়ে চলে আসছে জাল নোটের কারবারিরা।
সেই কারণে ফরাক্কায় বসবাসকারীদের একাংশকে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশের নোট কারবারিরা নিজেদের দলে টেনেছে বলে মনে করছেন এনআইএ’র অফিসাররা। মালদহের মতো এখানেও ঘরে ঘরে জাল নোটের কারবার ছড়িয়ে পড়েছে। এখানকার একাধিক ব্যক্তি কেরিয়ার হিসেবে কাজ করছে। তাদেরই বাংলাদেশে পাঠানো হয় জাল নোট আনতে। এমনকী ওপার বাংলায় এই কারবারের শীর্ষ মাথারাও জলপথকে ব্যবহার করে এই রুটেই মালদহ ও মুর্শিদাবাদে আসছে। তবে অফিসারদের কাছে উদ্বেগের বিষয় হল, জাল নোট কারবারের আড়ালে চোরাপথে আনা হচ্ছে অন্যান্য সামগ্রী। এমনকী বিস্ফোরক তৈরির মশলাও ঢুকছে এই পথে। বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনের সদস্যকে এই কাজে ব্যবহার করছে নোট কারবারিরা। পাশাপাশি তাদের জেহাদি ভাবধারায় দীক্ষিত করে জেহাদি কাজকর্মে উৎসাহ জোগানো হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের নাশকতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে নোট কারবারে জড়িতদের।
সেই কারণে এনআইএ ফরাক্কায় জাল নোট কারবারের শিকড় ছিঁড়তে মরিয়া। তাই রাজ্য পুলিসের হাতে ধরা পড়া সমস্ত জাল নোটের মামলার তদন্তভার তারা নিয়েছে। যাতে এখান থেকে মূল মাথাদের চিহ্নিত করা যায়। পাশাপাশি স্লিপার সেলের হয়ে যারা কাজ করছে, তাদেরও ধরা সম্ভব হয়।