কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলে তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করা হবে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, বাস্তবে পুকুর কাটাই হয়নি। অথচ খাতায়কলমে পুকুর খনন হয়ে গিয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। ভুয়ো নথি তৈরি করে বরাদ্দ টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে এরকম অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্লকের আধিকারিকরা ‘গ্রাউন্ড জিরোতে’ যাবেন। সেখানে গিয়ে অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের অর্থ ফেরত দিতে হবে। সুপারভাইজার থেকে নির্মাণ সহায়ক সবার উপরেই এর দায় বর্তাবে। কারণ, ১০০ দিনের কাজে টাকা তোলার জন্য নির্মাণ সহায়কের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতিতে একটি বড় চক্র এতদিন রাজ্যে কাজ করে এসেছে। অনেক জায়গাতেই শ্রমিকদের জবকার্ড প্রভাবশালীরা নিজেদের কব্জায় রেখে দেয় বলে অভিযোগ। পরে ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হতো। কার্ড জমা দেওয়ার জন্য কাজ না করেই কার্ড হোল্ডাররা অবশ্য কমিশন পেতেন।
কিন্তু, এবার এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ভুয়ো নথি তৈরি করে টাকা তুলে নিলে এবার কেউ শাস্তির হাত থেকে বাদ যাবে না। এই কাজে যাঁদের দায়িত্ব থাকবে, তাঁদের প্রত্যেককে অনুমোদন হওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অনিয়ম হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার একটি পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজে বাগান তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। অথচ বাগান তৈরি না করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়। খাতায়কলমে অবশ্য হিসেব ঠিক রাখা হয়েছিল। ওই পঞ্চায়েতে একটি পুকুর খনন নিয়েও অভিযোগ জমা পড়েছিল। বাস্তবে পুকুর না কেটে একটি গর্ত তৈরি করা হয়। খাতায়কলমে সেটাই পুকুর হিসেবে দেখানো হয়। সেখানেও কয়েক লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে এক বছর আগে অভিযোগ ওঠে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন কাজের চাপ থাকায় ১০০ দিনের প্রকল্প নিয়ে শীর্ষস্তরের আধিকারিকরা তেমন মাথা ঘামানোর সুযোগ পেতেন না। কিন্তু এবার থেকে ১০০ দিনের প্রকল্পে অনিয়ম ঠেকানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি বলেন, জেলাশাসক শীঘ্রই এই প্রকল্প নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। পশ্চিম বর্ধমানের ১০০ দিনের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক দিব্যেন্দু মজুমদার বলেন, এই প্রকল্পের কাজ নিয়ে সমস্ত গাইড লাইন মেনে চলা হবে। অণ্ডালের বিডিও ঋত্বিক হাজরা বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে অনিয়ম ঠেকানোর জন্য একধিক পদক্ষেপ রয়েছে। তার মধ্যে অর্থ ফেরতের বিষয়টিও রয়েছে।