কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই বিবৃতিতে সরসরি কাটমানির কোনও উল্লেখ করা হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী কয়েকদিন আগে কাউন্সিলারদের সভায় ভাষণ দেওয়ার পর আর্থিক অনিয়মের প্রসঙ্গ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই যে এই বিবৃতি, সেটা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওইদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য হিসেবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল, সরকারি পরিষেবা দেওয়ার নামে জনপ্রতিনিধিদের কাটমানি নেওয়া বরদাস্ত করা হবে না। কাটমানি ফেরত দিতে হবে। এরপর এনিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। অনেক জায়গায় পুরসভা ও পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা বিক্ষোভের মুখে পড়তে শুরু করেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই বিবৃতি জারি করার সময়টা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আজ, সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ‘কাটমানি’ ইস্যুতে সরগরম হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিরোধী বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি এই ইস্যুটি বিধানসভায় জোরালোভাবে ওঠানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস তৎপর হয়েছে বিরোধীদের এই উদ্যোগ প্রতিরোধ করতে। সোমবার থেকে বুধবার বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক চলবে। রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্কের সময় বিরোধীরা কাটমানি প্রসঙ্গ তুলবেন। এনিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব বা ১৮৫ ধারায় আলোচনা চাইতে পারেন বিরোধীরা। এছাড়া ভোট পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সরকারি কর্মীদের জন্য গঠিত বেতন কমিশনের রিপোর্ট নিয়েও বিধানসভা উত্তাল হতে পারে। কংগ্রেস ও বামেরা বিধানসভায় নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে শাসকদলকে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের পর বিজেপি-র শক্তি বিধানসভায় বেড়েছে। নতুন বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে বৈঠক করে তাঁরা কাটমানি ইস্যুতে বিধানসভার রণনীতি ঠিক করবেন।