কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিরোধী বাম-বিজেপি-কংগ্রেস কাউন্সিলাররা এই বিষয়টি উল্লেখ করতে চেয়ে হইচই শুরু করেন। কিন্তু চেয়ারপার্সন মালা রায় রাজি না হলে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতেই ফিরহাদ হাকিম উত্তর দিতে উঠলে তাঁরা আরও চিৎকার করেন। তখন ক্ষুব্ধ ও রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে মেয়র বলেন, আমি অধিবেশনে এসে যদি উত্তর না দিই, তাহলে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হবে। এখানে আগে পরিষেবা, তারপর অন্য বিষয়। আপনারা কী চান? মানুষের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেব, নাকি আপনাদের তোলা বিষয়টি নিয়েই ব্যস্ত থাকব? এদিন অবশ্য অধিবেশনে পুষ্পালি সিনহা উপস্থিত থাকলেও শান্তনুবাবু ছিলেন না।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদমের সিঁথি এলাকায় প্রোমোটারি করেন সুমন্তবাবু। শুক্রবার শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে তোলার টাকা দিয়ে আসছি আমি। এর আগে কলকাতা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছিলেন শান্তনু সেন। সিঁথির বুকে তিনিই এই অলিখিত সিন্ডিকেট প্রথা চালু করেন। ২৫ হাজার টাকা তোলা নিয়ে হাতেখড়ি। কেন টাকা দেব, জানতে চাইলে বলেন, গাড়ি ভাড়া এবং মাইক লাগানোর খরচ রয়েছে।
শুরুতে তোলা বাবদ টাকার অঙ্ক কয়েক হাজারের মধ্যে সীমিত থাকলেও, কয়েক বছরের মধ্যেই তা কাঠা প্রতি দু’লক্ষ টাকায় দাঁড়ায় বলে দাবি করেন সুমন্ত চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, পরবর্তী কালে কাঠা প্রতি দু’লক্ষ টাকা করে নিতে শুরু করেন শান্তনু সেন। কাজ হোক বা না হোক, চার কাঠা জমি হলে ওঁকে আট লাখ টাকা দিতেই হতো। তোলার টাকা কিস্তিতে দিলে শান্তনু নিজের মোবাইলে তাঁর হিসাব রাখতেন বলেও দাবি করেন নান্টিবাবু।
ওই প্রোমোটার আরও বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ইট, বালি, সিমেন্টের ব্যবসা আমার। কিন্তু ২০১২-র পর থেকে কিছু বিক্রি করতে পারি না। নিজের কাজেও অন্যের থেকে চড়া দামে সব কিছু কিনতে হয়। এ ভাবেই আপস করে চলছিলাম এত দিন পর্যন্ত। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুযোগ করে দিয়েছেন, তাই মুখ খোলার সাহস পেয়েছি। ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শান্তনু সেনকে ৪০ থেকে ৪২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও শান্তনুবাবু এই বিষয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তিনি ফোনে বলেন, আমি একজন চিকিৎসক। আমার স্ত্রীও চিকিৎসক। সমাজে আমাদের একটা সম্মান রয়েছে। যিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তাঁকে বলব প্রমাণ দিতে। যদি প্রমাণ না দিতে পারেন, তাহলে মানহানির মামলা করব। কোন সুমন্ত চৌধুরী বলছেন, আমাকে একটু জানতে হবে। আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে। আমি ওই ব্যক্তিকে আদালতে টেনে আনব। অন্যদিকে, পুষ্পালি সিনহা বলেন, ওই লোকটি বৈশাখীর মোড়ে থাকেন বলে জানি। অনেকবার ফোন করেছি। কিন্তু ফোন ধরেননি। অত্যন্ত মিথ্যা অভিযোগে আমার সম্মান নষ্ট হয়েছে। আমি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।