গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৭ সালে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ফের উত্তাল হয় পাহাড়। বিমল গুরুংয়ের সহযোগীদের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি আবাসনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং পুলিসের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে মৃত্যু হয় দার্জিলিং সদর থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের। তারপর থেকেই বেপাত্তা গুরুং ও তাঁর শাগরেদরা।
কিছুদিন ধরেই দার্জিলিং জেলা পুলিসের কাছে খবর আসছিল, গুরুংয়ের অনুগামীরা নেপালে লুকিয়ে রয়েছেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন মোর্চা প্রধান। পাহাড়ে কীভাবে ফের হিংসা ছড়ানো যায়, তাই নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। নেপালে লুকিয়ে থাকা গুরুংয়ের দলের সমর্থকরা হোটেল বা ক্যাসিনোতে কাজ করছেন। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকায় থাকছেন তাঁরা। ছবি সহ কী কী ঘটনায় তাঁরা অভিযুক্ত, সেই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেপাল পুলিসের কাছে পাঠানো হয়। জানা যায়, নেপালের বিভিন্ন জায়গায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অফিস পর্যন্ত খুলে বসেছেন গুরুংয়ের ঘনিষ্ঠরা।
এরপরই গুরুং ও তাঁর সঙ্গীদের ধরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন দার্জিলিং জেলা পুলিসের কর্তারা। কিন্তু পৃথক রাষ্ট্র হওয়ায় নেপালে গিয়ে অফিসাররা তল্লাশি চালাতে পারছিলেন না। তাই দূতাবাস মারফত যোগাযোগ করা হয় নেপালের সঙ্গে। ভারতের জানায়, দার্জিলিংয়ের পুলিসকর্তারা নেপাল পুলিসের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। সম্মতি মেলার পরই দার্জিলিং জেলার পুলিস সুপার চলতি মাসে নেপালের ঝাঁপায় যান। এই অংশ দার্জিলিং লাগোয়া। এখানেই সবচেয়ে বেশি সক্রিয় গুরুংয়ের লোকজন। নেপাল পুলিস স্বীকার করে, সেখানে গুরুংয়ের সঙ্গীরা লুকিয়ে রয়েছেন। মোর্চার হয়ে যে তাঁরা কাজ চালাচ্ছেন, সেই বিষয়টিও তাঁদের নজরে এসেছে। এরপরই নেপাল পুলিসের তরফে ২১ জনকে আটক করা হয়। দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে দার্জিলিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁছ থেকে ছয় জন রয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা পাহাড়ে সক্রিয়, তার বিস্তারিত তথ্যও মেলে। পরে অবশ্য সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।